ভারত

বালাকোটে আক্রমণ করতে কি ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল?

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতীয় উপমহাদেশের বুকে সন্ত্রাস কোনো নতুন জিনিস  নয়। উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময় হয়ে উঠেছে নানা জঙ্গি হামলার পটভূমি। তার মধ্যে ভারত ও নয় বিচ্ছিন্ন। সন্ত্রাসের কালো ছায়া বিভিন্ন সময়ে রক্তাক্ত করেছে ভারতকে। তবে, প্রথম থেকেই ভারত সরকার সন্ত্রাস দমনে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হয়নি। তা সে হালফিলের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকই হোক বা পাক অধিকৃত বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক৷ এই অপারেশনগুলোকে সফল করতে সৈন্যবাহিনীর অদম্য সাহসের সাথে উন্নত মানের অস্ত্র এবং প্রযুক্তিকেও সাহায্য করেছে ভারতকে। শুধু দেশের বাইরেই নয়, দেশের ভেতরেও কাশ্মীরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই সন্ত্রাসবাদের বীজ সমূলে উৎখাত করতে এবার ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক ‘Corner Shot Rifles’।

আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট (ARDE), পুণের তৈরি এই রাইফেল বর্তমানে ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস্-এ রয়েছে৷ সূত্রের খবর সরকারের তরফ থেকে সম্মতি মেলা মাত্রই  ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড (NSG), সেনা, পুলিশ ও স্পেশাল ফোর্সের হাতে তুলে দেওয়া হবে এই রাইফেল। এই ‘Corner Shot Rifles’-এর রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব। ওজবালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকে জঙ্গিদের টার্গেট করা বোমা ক্রয়। কত কোটি টাকার চুক্তি হল এবং কোন দেশের সাথে?নে অত্যন্ত হালকা এই রাইফেল ৫.৫৬ এবং ৭.৬২ রাউন্ড ফায়ার করতে তো সক্ষমই সেই সঙ্গে ইসরাইলী স্টাইলে শত্রুর বিনাশ ঘটাতেও এই রাইফেল অত্যন্ত পটু বলেই দাবি করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য যে বর্তমানে দিল্লী এবং পাঞ্জাব পুলিশের স্পেশাল বাহিনীর কাছে রয়েছে এই রাইফেল।

এই রাইফেল ব্যাবহার করে সেনা অনায়াসেই ৯০ডিগ্রী কোণে গুলি করতে সক্ষম হবে৷ অর্থাৎ শত্রুকে ধরাশায়ী করতে তার মুখোমুখি না গিয়ে দেওয়ালের আড়ালে থেকে শত্রুর অবস্থান দেখেই গুলি করা যাবে corner shot rifel এর সাহায্যে৷ 

অতীতে যে স্পাইস বোমে কেঁপে উঠেছিল পাক অধিকৃত বালাকোট, সেই স্পাইস বোমাই এবার কিছুমাস আগে ক্রয় করেছে ভারত৷ সম্প্রতি ইসরায়েল এর সঙ্গে ভারতীয় বায়সেনার হওয়া ৩০০ কোটি টাকার চুক্তি অনুযায়ী ১০০ টি স্পাইস বোম্ব হাতে পেয়ছে ভারত। এই বোম্বের রেঞ্জ প্রায় ৬০ কিলোমিটার৷ শুধু তাই নয়, এটিরিয়েল টাইমে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইমেজ অনুযায়ী নিখুঁত আঘাত আনতেও সক্ষম এটি।

বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক এর সময় ও এয়ার ফোর্স জঙ্গিদের টার্গেট করেছিল এই স্পাইস বোম্ব ব্যাবহার করেই। সেইবার বিল্ডিংয়ে সামান্য আঘাত করেই জঙ্গিদের বিনাশ করতে সক্ষম হয়েছিল অত্যাধুনিক এই বোম্ব। এবার সেই ইজরায়েলি বোমার আরও আধুনিক ভার্সান হাতে এলে তা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত কে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।স্পাইস-২০০০ বোমা মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে ব্যবহৃত হবে বলে শোনা যাচ্ছে।

শুধু রাইফেল ও স্পাইস বোম্বই নয় সেই সঙ্গে নতুন আরেক বোমা হাতে পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা। গত মাসেই খবর পাওয়া গেছিলো, শত্রুপক্ষের বাংকারে আঘাত হানার জন্য কেনা হবে নতুন এক শক্তিশালী বোমা,বাংকার বাস্টার। অবশেষে প্রতীক্ষা শেষ হওয়ার পথে।নামের সাথে এর কাজের ও রয়েছে মিল। এই বোমা নিমেষেই শত্রুর বাঙ্কার ও গাড়ি ধুলোয় মিশিয়ে দিতে সক্ষম। এই বোমা কেনা হলে তিন বাহিনীরই হাতেই এবার থেকে মজুদ থাকবে এটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.