কেন ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও আমেরিকা একসাথে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ চীনের আগ্রাসন নীতি যে অনেক পুরনো তা অনেকেরই জানা। নতুন কোনও ঘটনা নয় এটি। এবং এই নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বের বহু দেশের সাথেই তাদের যুদ্ধ হয়েছে। শুধু এশিয়া নয়, এশিয়ার বাইরেও একাধিক দেশের সাথে যুদ্ধ হয়েছে।
প্রতিবেশি দেশের প্রচুর স্থান নিজেদের বলে দাবি করে বসে চীন। এবং চীনের পরবর্তী টার্গেট হল রাশিয়া। এবং ইতিমধ্যে এই নিয়ে নাড়াচাড়া দেওয়াও তারা শুরু করেছে। কিছুদিন আগে রাশিয়ার একটি শহর ভ্লাদিভস্তক এর ১৬০ বছর পূর্ণ উপলক্ষে তারা সেলিব্রেশান করে।
আর ঠিক এর পরই চীন মন্তব্য করে যে ভ্লাদিভস্তক নাকি চীনের অংশ। ১৯ শতকেও চীনের অংশ ছিল এই শহর। চীনের দাবি পূর্বে চীনের কুইং রাজত্বে এই শহরের নাম ছিল হাইসেনওয়াই। ১৮৬০ সালে দ্বিতীয় চীন যুদ্ধে চীনের পরাজয়ের পর এটি রাশিয়াতে যুক্ত হয়।
দ্বিতীয় চীন যুদ্ধ যাকে দ্বিতীয় অ্যংলো চাইনিজ যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে।। ১৮৫৬-১৮৬০ এই চার বছর ধরে চলেছিল এই যুদ্ধ, যাকে দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ ও বলা হয়ে থাকে। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও আমেরিকা চীনের বিরুদ্ধে একত্রে যুদ্ধ করেছিল। যুদ্ধের মুলত কারন ছিল আফিম রপ্তানি কে কেন্দ্র করে। এই যুদ্ধে শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হয় চীন। চীনের ২ লক্ষ সেনার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড,ফ্রান্স এর মাত্র কুড়ি হাজার সেনা যুদ্ধ করে, আর তাতেই চীন পরাস্ত হয়।
এখন দেখার রাশিয়া কি প্রতিক্রিয়া জানায়। চীনের অন্যতম বন্ধু প্রতিবেশি দেশ রাশিয়া। চীনের হংকং ইস্যুতে এবং করোনা ভাইরান ইস্যুতে চীনকে তেমন কিছু বলে নি রাশিয়া। আর এবার চীন তার বন্ধুর জায়গাও দাবি করে বসল।