ভারতীয় কোন গোত্রের ড্রোনের ট্রায়াল শুরু করছে DRDO?
নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে আত্মনির্ভর প্রকল্পে কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সামরিক ক্ষেত্রে যে ভারত আত্মনির্ভর হতে চলেছে তা কমবেশি অনেকটাই স্পষ্ট। একের পর এক প্রোজেক্টের কাজ দ্রুততার সাথে চলছে। বিশেষ করে ভারতের বায়ুসেনার ক্ষেত্রে এক বিরাট অধ্যায়ের শুরু হতে চলেছে। পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন আসতে চলেছে ভারতের বায়ুসেনার হাতে।
ডি আর ডি ও ইতিমধ্যে ভারতের SWIFT ড্রোনের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। Swift বা স্টেলথ উইং ফ্লাইং টেস্টবেড আসলে ঘাতক ড্রোনের টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেশন। ঘাতক ড্রোনের মতো এই ড্রোনে ও একি টেকনোলোজির ব্যবহার করা হতে চলেছে। আই আই টি কানপুর এবং ADA তৈরি করা এই ড্রোনটির ওজন ১ টন। এটি প্রোটোটাইপ ভার্সন যার লো এবং মিডিয়াম গতির ট্রায়াল পরীক্ষা করা হবে। গ্রাউন্ড টেস্টে এটিতে রাশিয়ান NPO Satrun 36MT টার্বোফ্যান ইন্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যদিও কিছু সপ্তাহ পরে এটির ফ্লাইট টেস্ট করা হবে এবং প্রডাকশানে গেলে ভারতবর্ষের GTRE ইন্জিন ব্যবহার করা হবে।
ভারতের পরবর্তী প্রজন্মের ঘাতক ড্রোনের পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে ২০২৪-২৫। এই ড্রোন গুলিতে ৪৬ কেএন থ্রাস্ট যুক্ত কাবেরি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। একটা কথা বলে রাখা ভালো যে SWIFT স্টেথ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল যে এটিকে ঘাতক টেকনোলোজির ড্রোন করা হবে। তবে পরে ঠিক হয়েছে যে এটিকে আলাদাভাবে স্টেলথ আনম্যানড উইংম্যান বোম্বার প্রজেক্টের আওতায়। অর্থাৎ ভারতবর্ষের কাছে ঘাতক এর পাশাপাশি swift মোট দু ধরনের স্টেলথ কমব্যাট ড্রোন থাকবে এবং Swift ঘাতক এর আগেই সার্ভিসে আসতে চলেছে।
২০০৯ সালে ১২.৫ কোটি টাকা ফান্ডিং করা হয়েছিল এটি ড্রোন টেকনোলোজি নিয়ে রিসার্চ করার জন্য। ২০১৯ সালে মোট ২৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এই ড্রোনের জন্য।