দ্রুত কমছে সাবমেরিনের সংখ্যা
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের হাতে একের পর এক বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ আসছে। ভারতের নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর কথাও ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। কারন ভবিষ্যতে চীন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়তে নৌবাহিনীকে অনেক বেশী শক্তিশালী হতে হবে। আর সেই কারনে ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রোজেক্টের কাজও হচ্ছে। পাশাপাশি বেশ কিছু বছর ধরে ভারতের নৌবাহিনীর উপর নজর না দেওয়ার ফলে ভুগতে হয়েছে নৌসেনাকে এবং ভবিষ্যতেও ভুগতে হতে পারে।
ভারতের নৌসেনার কিলোক্লাস সাবমেরিন আইএনএস সিন্ধুধ্বজ কে অবসরে পাঠানো হবে। এই সাবমেরিন গুলি ১৯৮৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে ক্রয় করা হয়েছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ১৯৮৬ থেকে ৯১ এর মধ্যে মোট ৮ টি সাবমেরিন ক্রয় করা হয়েছিল এই গোত্রের। এরপর আবার ৭ বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৮ এবং ২০০০ সালে আরও দুটি এই ধরনের সাবমেরিন ক্রয় করা হয়। ২০১৩ সালে দুর্ঘটনায় ১ টি সাবমেরিন আইএনএস সিন্ধুরক্ষক নষ্ট হয়ে যায় এবং ২০২০ তে আইএনএস সিন্ধুবীর নামে একটি সাবমেরিন মায়ানমার কে গিফট করা হয়েছিল। ধীরে ধীরে কিলোক্লাস সাবমেরিন গুলোকে স্করপিয়ন ক্লাস দিয়ে পরিবর্তন করা হচ্ছে।
একটা কথা ভুলে গেলে চলবেনা যে যেভাবে আসতে আসতে সাবমেরিনের সংখ্যা কমছে তাতে কিছুটা হলেও সমস্যায় পরতে পারে ভারতের নৌবাহিনী। কারন কিলোক্লাস সাবমেরিন গুলিকে অবসরে পাঠানে হচ্ছে এবং শিশুমার ক্লাস সাবমেরিন গুলিকেও অবসরে পাঠানো হবে। ফলে সাবমেরিনের সংখ্যা বেশ কমছে। অন্যদিকে যদি চীন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এই মুহূর্তে ২৪ টি কনভেনশনাল সাবমেরিন চায়। সেখানে দারিয়ে মাত্র ৬ টি স্করপিয়ন ক্লাস সাবমেরিন তৈরি হচ্ছে।
তবে P-75I টেন্ডারে ৬ টি সাবমেরিন আসতে চলছে কিন্তু হিসাব করে দেখলে মোট ১২ সাবমেরিন হচ্ছে তবে নৌবাহিনীর এই মুহূর্তে দরকার ২৪ টি সাবমেরিন। এই ২৪ কনভেনশনাল সাবমেরিন অনেকে আবার এগুলিকে SSN এবং SSBN এর সাথে মিশিয়ে ফেলেন। তবে জেনে রাখা ভালো যে সেগুলি আলাদা প্রজেক্ট। উল্লেখ্য বিভিন্ন কারনে p-75I প্রজেক্ট দেরি হয়েছে যার কারনে ভারতীয় নৌসেনার সাবমেরিন ফ্লীটের অবস্থা খারাপ।