ভারতবর্ষের সার্ভিসে কিভাবে এসেছে বেলুন টেকনোলোজি?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের পরমবন্ধু ইসরায়েল। বহু বছর ধরেই ইসরায়েলের থেকে যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করে আসছে সেনাবাহিনী। তাই ইসরায়েলের সাথে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে ইসরায়েলের বেশ কিছু টেকনোলোজি নিয়ে কাজ করছে ভারতবর্ষের অনেক সংস্থা। তাদের একটি টেকনোলোজি খুব শীঘ্রই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হতে পারে।
এ্যরোস্ট্যটের প্রযুক্তি স্বদেশীকরণের করার চেষ্টা করছে ভারত। ভারতীয় বিমানবাহিনী ইসরায়েলের তৈরি বেশ কিছু এ্যরোস্ট্যট ব্যবহার করে। বড় স্থানে সার্ভেইল্যন্সে বড় উপযোগী এই টেকনোলোজি। তবে এবার ভারত নিজের তৈরি এ্যরোস্ট্যটের স্বদেশীকরনে জোড় দিয়েছে। ডিআরডিও ২০১০সালে এ্যরোস্ট্যটের ডেভেলপমেন্টের জন্য ট্রায়াল দিয়েছিল। এ বিষয়ে খুব কম তথ্য প্রকাশিত করা হয়ে থাকে।
জানিয়ে রাখা ভালো যে সার্ভেইল্যন্সের জন্য এ্যরোস্ট্যট হরাইজনের সমস্যায় সমাধান করে। বিশেষ করে একটা বড় অংশ দীর্ঘ সময় ধরে নজর রাখতে সক্ষম হয় টেকনোলোজির মাধ্যমে। এ্যরোস্ট্যট হল একটি হিলিয়ামে পূর্ণ বিরাটাকার বেলুন। আর এতে লাগানো থাকে কমিউনিকেশান সুইট, ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্স পেলোড, ইনফ্রারেড ফাইন্ডার ও সার্চিং সিস্টেম, কনিউনিকেশান ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমের মতো একাধিক টেকনোলোজি।
বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে রেডারও ব্যবহার করা হতে পারে। একটি কেবিলের সাথে বেধে এই বেলুনকে অনেক উপরে উঠিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। হিলিয়াম হাল্কা গ্যস হওয়ার কারনে হিলিয়াম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ওপরে থাকার ফলে রেডারের তুলনায় কম খরচে এই টেকনোলোজি অনেক বেশি এলাকায় সার্ভেইল্যন্স ও রিকন মিশন পরিচালনা করতে পারে অনেকদিন ধরে। এই ধরনের টেকনোলোজি ডোকলাম স্ট্যন্ডঅফে চীন ব্যবহার করেছিল। কার্গিলে ভারত ব্যবহার করেছিল।