ব্রহ্মস X কতোটা ভয়ঙ্কর?
নিউজ ডেস্কঃ ব্রহ্মস মিসাইল। এই নাম চীন এবং পাকিস্তানের মাথা ব্যাথার কারন। এই মিসাইল যে কোন মুহূর্তে শত্রুপক্ষের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। বর্তমানে এই অস্ত্র বিধ্বংসী হলেও ভবিষ্যতে আরও ভয়ংকর হতে চলেছে। ইতিমধ্যে এর নতুন ভার্সন নিয়ে কাজ শুরু হয়েগেছে।
ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরী ব্রহ্মসের নতুন ভার্সন আসতে চলেছে। ব্রহ্মস X অর্থাৎ বিরাট পারফরম্যান্স দেখাতে চলেছে এউ মিসাইল সিস্টেম। বর্তমানে হাতে থাকা এই মিসাইলের রেঞ্জ 3.2 mach অর্থাৎ শব্দের ওই গুন গতিবেগ নিয়ে 290 কিমি দূরে শত্রুর উপর আঘাত হানতে পারে।
কিছুদিন আগে লং রেঞ্জ ভ্যারিয়েন্ট ব্রহ্মস ER অর্থাৎ এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ পরীক্ষা শুরু হয়েছে যা 600 কিমি দূরের বস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম। যা বেড়ে 800 কিমি হতে চলেছে। ব্রহ্মস X একটি হাইপার সোনিক মিসাইল হতে চলেছে যার গতি 4.5 ম্যাক (সাধারনত ম্যাক ৫ এর কাছাকাছি গতিকে হাইপার্সোনিক গতি বলা হয়ে থাকে) তবে এখনও স্পষ্ট নয় যে এর রেঞ্জ বেসলাইন ব্রহ্মসের মত 290 কিমি হবে নাকি ER ভার্শন মত 600 কিমি হতে চলেছে।
বেসলাইন বা প্রাথমিক ব্রহ্মস হল একটি রাশিয়ান অনিক 800 মিসাইল উপর নির্ভর করে যা উভয় মিসাইল র্যামজেট ইন্জিন ব্যাবহার করে, পাশাপাশি এই মিসাইল দুই স্টেজে মিসাইলটি দ্বিতীয় স্টেজ র্যামজেট ইন্জিন ব্যাবহার করে। অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে এটি একটি সলিড বুস্টার ইন্জিন ব্যাবহার করে। সলিড বুস্টার ইন্জিন একে সুপারসনিক গতি দেওয়ার পর এটি র্যামজেট ইন্জিন সক্রিয় হয়।
ব্রহ্মস X ভ্যারিয়েন্টের আসল রহস্য হল এই যে র্যামজেট স্টেজ আছ, তবে এর ব্যবহার একটু আলাদা, কারন এটি র্যামজেট সাস্টেইনার 3.5 ম্যাক গতি নিতে পারে কিছু সফটওয়ার টুইক মাধ্যমে একই ইন্জিন 4.5 ম্যাক অর্থাৎ হাইপার্সোনিক গতি নেয় অর্থ্যাৎ ইন্জিনটি ক্ষমতা অতিরিক্ত প্রয়োগ হয় যার ফলে মিসাইলটিকে ব্রহ্মস X বলা হচ্ছে।
এর আরও একটি ভার্সন এর প্ল্যানিং করা হচ্ছে। যা বর্তমানে প্ল্যানিং এর পর্যায়ে আছে, ব্রহ্মস 2 এটি একটু আলাদা কারন এটি প্রথমাবস্থাতেই হাইপার সোনিক গতি নেবে পাশাপাশি এই মিসাইলটিকে HSTDV (হাইপার সোনিক টেকনোলজি ডেমনেস্ট্রেশন ভেহিকেল) উপর নির্ভর করে তৈরী হতে চলেছে যা একটি মনুষ্য রোহিত হাইপার্সোনিক স্ক্রামজেট ভেহিকেল যা চড়ে মিসাইল টি হাইপার্সোনিক গতি লাভ করবে। তবে এটির জন্য DRDO কাজ করছে, পাশাপাশি এটি পরীক্ষাও করা হয়েছে। মিসাইল ছাড়া এই সিস্টেম ভবিষ্যতে ছোট মিলিটারি বা সিভিলিয়ান উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে কাজে লাগানো হতে পারে।