পৃথিবী

আরবের ৮৯ টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে ইসরায়েল অবাক করা প্ল্যান

নিউজ ডেস্কঃ গাজা এবং ইসরায়েলের যুদ্ধে সারা পৃথিবীকে চোখে আঙ্গুল দিতে ইসরায়েল দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা কতোটা অত্যাধুনিক সামরিক ক্ষেত্রে। যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে সক্ষম ইসরায়েল। আর তা ইতিমধ্যে প্রমান হয়েছে বহুবার।

ইসরায়েলের এই বিধ্বংসী ক্ষমতার পেছনে রয়েছে তাদের বায়ুসেনা। কারন তারা যেকোনো দেশের উপর হামলা করতে ব্যবহার করে থাকে তাদের বায়ুসেনাকে। আর তাদের যুদ্ধবিমান গুলিতে মোতায়েন রয়েছে একের পর এক বিধ্বংসী মিসাইল। এই মিসাইল গুলি দিয়েই একের পর এক যুদ্ধে জয় পেয়েছে তারা।

পাইথন এয়ার টু এয়ার মিসাইল। পাইথন-৩। যা একটা সময় আফ্রিকা এবং বেশ কিছু ইসলামিক দেশের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। ১৯৫৯ এর দিকে এক মিসাইল সকলেরই সামনে নিয়ে আসে ইসরায়েল। শাফরির। এই মিসাইল দিয়েই একাধিক যুদ্ধ লড়েছে তারা। ১৯৬৩ সালে এই মিসাইলকে ফ্রান্সের মিরাজ ২০০০ এ মোতায়েন করে ইসরায়েল এবং সিক্স ডে ওয়ার তারা বিরাটভাবে সাফল্য পায়, শুধু তাই নয় ১৯৭১ শাফ্রির ২ লঞ্চ হয়, ১৯৭৩ এ আরব-ইসরায়েলের যুদ্ধে ১৭৬ টি শাফ্রির ২ মিসাইল দিয়ে শত্রুপক্ষের ৮৯ টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে ইসরায়েল।

শাফ্রির ২ এর পর নতুন মিসাইল সকলের সামনে নিয়ে আসে ইসরায়েলের রাফায়েল ইন্ডাস্ট্রি। যা পাইথন ৩ নাম দেওয়া হয়ে থাকে। কারন শাফ্রির ১ এবং ২ এর পর এই মিসাইল নিয়ে আসা হয়। এর ক্ষমতা দেখে সত্যি অবাক হয়েছিল পৃথিবীর বহু দেশ।

পাইথন-৩ এর মত সফল এয়ার টু এয়ার মিসাইল পৃথিবীতে এখনও সেভাবে আসেনি। অত্যন্ত এ্যজাইল এবং ইনফ্রারেড সিকার সহ এটি ইসরায়েলের বায়ুসেনাকে বিরাটভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছিল।

১৯৮০ র দিকে ইসরায়েলকে আকাশ যুদ্ধে বাঁচিয়ে রাখার পিছনে এক বিরাট ভূমিকা নিয়েছিল এই মিসাইল। ১৯৮২সালে লেবাননের যুদ্ধে শুধু এই পাইথন-৩ ৫০টি সফল হিট করে রেকর্ড করেছিল। এর রেঞ্জ -১৫কিমি। আমেরিকার মতো দেশ এর কার্যকরিতা দেখে অবাক হয়ে গেছিল। তবে চীনের এতোটাই ভালো লেগে যায় যে তারা এই মিসাইল ক্রয় করে এর নকল করা শুরু করে। যার নাম পিএল-৮। যদিও পাইথন-৩ ও পিএল-৮ এর মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.