চীনের মিসাইল আটকাতে রাশিয়ার কোন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্সটল রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ সেনাবাহিনীর হাতে থাকা বেশ কিছু অস্ত্র সম্পর্কে কোনোরকমভাবে ওয়াকিবহাল নয় চীন। কারন ভারতবর্ষের বেশ কিছু অস্ত্র ইসরায়েলের থেকে ক্রয় করা হয়েছে, আর সেই কারন বশত সেই সম্পর্কে কোন তথ্যই নেই চীনের কাছে। এবং সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে রাশিয়ার থেকে ক্রয় অস্ত্র সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল চীন, ফলে রাশিয়ার থেকে ক্রয় করা অস্ত্র চীনের উপর ব্যবহার করলে তা কতোটা কার্যকারী হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে ইসরায়েলের অস্ত্র যে চীনের বিরুদ্ধে লড়তে সেনাবাহিনীকে অগ্রাধিকার দেবে তা আর নতুন করে কিছু বলা নেই। আর এই কারনে চীনের বিরুদ্ধে লড়তে ইসরায়েলের থেকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বেশি করে ক্রয় করার কথা চিন্তা করছে সেনাবাহিনী।
ভারতের সেনা এবং বিমানবাহিনীর জন্য প্রথম ১০০০টি বারাক-৮ এর প্রথম ব্যচের জন্য ম্যনুফ্যক্চার করা স্পেয়ার পার্টস “ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড” এর কাছে ডেলিভারি দিয়েছিল। তারা এবার এই সিস্টেম তৈরি করছে। ইসরায়েলের এই মিসাইল গুলি সেনা এবং বিমানবাহিনীর অধীনে ভারতের এয়ার বেস থেকে শুরু করে ফরওয়ার্ড ডেপ্লয়মেন্ট এরিয়া গুলোতে নিয়ে যাওয়া হতে চলেছে।
ভারতের কাছে MRSAM হল একটা বড় উপহার! ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনীর কাছে এই প্রথম এরকম অত্যাধুনিক লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স আসতে চলেছে।
MRSAM ডুয়েল পাল্স মটর চালিতে এয়ার ডিফেন্স যার ফায়ার কন্ট্রোল রেডার, যা ৪৫০কিমি ট্র্যকিং রেঞ্জের এসা রেডার রয়েছে। এই সিস্টেম ইতিমধ্যে প্রমাণিত নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে। আজারবাইজানের হাতে ব্যটেল প্রুভেন ট্যগ পেয়েছে। ইস্কান্দার শুট ডাউন করে নিজের শক্তিশালী উপস্থিতি প্রমাণ দিয়েছে MRSAM।
স্পষ্টভাবে বললে এস-৪০০ এর চেয়ে MRSAM অত্যন্ত বড় অস্ত্র হত চলেছে চীনের বিরুদ্ধে। কারন এস৪০০ ইতিমধ্যে চীনের হাতে আছে, ফলে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সম্পর্কে অনেকটা ওয়াকিবহাল। অন্যদিকে MRSAM চীনের জন্য সম্পূর্ন নতুন হুমকি।