রাশিয়ান যুদ্ধবিমানে কেন পশ্চিমের প্রযুক্তি ইন্সটল করা হয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় গড়ে ওঠা তাদের দুটি কোম্পানি সুখই এবং মিগ। এই দুই কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময় লেগে থাকলেও অতীতে মিগ বিমান গুলির কাছে সেভাবে টেক্কা পায়নি সুখই যুদ্ধবিমান গুলি। তবে সম্প্রতি মিগের যুদ্ধবিমান গুলিকে এর সেভাবে সার্ভিসে আনা হচ্ছে না। বিশেষত সুখই এর সাথে টেক্কাতে মিগ দিতে পারেনা। কিন্তু মিগের তৈরি যুদ্ধবিমান গুলি এখনও শত্রুপক্ষের ঘুম কেড়ে নিতে পারে যেকোনো মুহূর্তে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় তৈরি হওয়া বেশ কিছু যুদ্ধবিমান এখনও ভারতের বিমানবাহিনী থেকে শুরু করে নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে। আর এই যুদ্ধবিমান গুলি সার্ভিসে রয়েছে রাশিয়ার বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীতে।
সোভিয়েত ইউনয়নের সময় তাদের হাতে যত যুদ্ধবিমান ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম মিগ ২৯ এবং সুখই সু ২৭। এই দুই যুদ্ধবিমানের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল সোভিয়েতের যুদ্ধবিমানের টেন্ডারে। সুখই এর সু ২৭ এই টেন্ডার জিততে সক্ষম হলেও মিগ ২৯কে সোভিয়েত সেই সময় বাদ দিতে পারেনি। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে কতোটা সমানে সমানে টক্কর হয়েছিল। আর এই মিগ ২৯ এর যুদ্ধবিমান গুলিকে ভারতের নৌবাহিনীর সার্ভিসে দেখা যায়। আধুনিক সলিড স্টেট AESA নির্ভর জ্যমার ডি-২৯ ইন্সটল করা আছে যা ভারতবর্ষের রাফালের স্পেকট্রার পর ভারতীয় বিমানবাহিনীতে সব থেকে শক্তিশালী জ্যমার বলে মানা হয়ে থাকে। এই অত্যাধুনিক জ্যামারটি ডি আর ডি ও ইসরায়েলের সাথে যৌথভাবে তৈরি করেছে। পাশাপাশি ফ্রান্সের থ্যলসের টপসাইট-১ এর বদলে ইসরায়েলের কোম্পানি এল্বিট সিস্টেমের ড্যস-৪ হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লে ব্যবহার করে পাইলট। এবং এর থেকে আরও একবার প্রমান হচ্ছে যে ভারত এখন রাশিয়ান যুদ্ধবিমান গুলিতে ব্যপক ভাবে পশ্চিমী প্রযুক্তি ঢোকাচ্ছে।