পাকিস্তানকে ঠকিয়ে যুদ্ধবিমান বিক্রি চীনের। কতোটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে?
নিউজ ডেস্কঃ চীন এবং ভারতের উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। চীনের সমর্থনে পাকিস্তান যে যুদ্ধ করতে পারে তা কমবেশি সকলেরই জানা। শুধু যুদ্ধ নয় দীর্ঘ বহু বছর ধরে একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আসছে। তারা একাধিক যুদ্ধবিমান ও তৈরি করেছে একসাথে।
জয়েন্ট ফাইটার ১৭ থান্ডার/ফাইটার চায়না-১ ফিয়ার্স ড্রাগন- যুদ্ধবিমানটি একসাথে তৈরি করেছে পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স আর চীনের চেংদু অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন। বিশেষ করে নিজেদের খরচ বাঁচাতেই এই বিমান তৈরি করা হয়েছে। চীন এই বিমান তৈরি করলেও তারা ব্যবহার করেনা। তারা পাকিস্তান, নাইজেরিয়ার মতো দেশকে মূলত বিক্রি করতেই এই বিমান তৈরি করেছে। পাকিস্তান, মায়ানমার এবং নাইজেরিয়া, তিনটি দেশই এই বিমান বর্তমানে ব্যবহার করে। যার মধ্যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতেই রয়েছে ১৩৫ এবং ৬৪ টি অর্ডার দিয়ে রেখেছে। পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে এফ ১৬ র খরচ বাচানর জন্যই এই বিমান তৈরি করেছে। এফ ১৬ র পাশাপাশি এই বিমানকে প্রধান বিমান হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এফ-১৬ এর মতোই এটি আকাশ থেকে ভূমিতে, আকাশ থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে যুদ্ধজাহাজে হামলা চালাতে সক্ষম। তবে শুধু যুদ্ধের কাজে নয় পাশাপাশি গোয়েন্দাগিরির কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই যুদ্ধবিমান।
চীনের বিখ্যাত ডিজাইনার ইয়াং ওয়েই-এর তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই থান্ডার যুদ্ধবিমানটি ২০০৩ সালে প্রথমবার আকাশে দেখা গেলেও ২০০৭ সালে বিমান বাহিনীতে যোগ দেয়। ৫০ ফুট দীর্ঘ এই বিমান ১২ হাজার কেজি ভর নিয়ে ম্যাক ১.৬ অর্থাৎ ১৯০০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিতে উড়তে পারে। এর রেঞ্জ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার। বিমানটি প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র বহন করতে পারে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন গাইডেড এবং আনগাইডেড বোমা, মিসাইল। রাশিয়ার তৈরি আরডি-৯৩ ইঞ্জিনের সাথে এটি অত্যাধুনিক চীনা ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বর্তমানে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গেরিলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এই থান্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে। মায়ানমার এবং নাইজেরিয়ার কাছে এই বিমান থাকলেও বর্তমানে আর্জেন্টিনা, সৌদি আরবসহ বহু দেশ এই স্বল্পদামী অথচ আধুনিক বিমানটি নিজেদের বিমান বাহিনীতে যোগ করতে পারে বলে মত একাধিক বিশেষজ্ঞের। ২০১৭ সালে এই পাকিস্তানি থান্ডার যুদ্ধবিমানটি একটি ইরানি ড্রোনকে ধ্বংস করে।