ভারত

ভারতের হাতে আসতে চলা অগ্নি প্রাইম কতোটা ভয়ঙ্কর?

নিউজ ডেস্কঃ অগ্নি সিরিজের মিসাইল গুলি যে যেকোনো সময় পৃথিবীর বহু দেশের ঘুম কেড়ে নিতে পারে তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে আবার ভারতবর্ষের হাতে আসতে চলেছে অগ্নি প্রাইম। এর এই মিসাইল নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক বিশ্লেষণ করেছে চীনের সংবাদমাধ্যম। চীনের সংবাদমাধ্যমের মতে এটি চীনের জন্য বিরাট বড় কোনও হুমকি নো কারন এটি চীনের বেশিরভাগ বড় শহর গুলিতে পৌছাতে পারবেনা তবে এটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাজ করার পাশাপাশি চীনের ট্যাক্টিক্যাল টার্গেটের বিরুদ্ধে কাজ করবে।

তবে ভারতের হাতে আসতে চলা এই মিসাইল কি কি ক্ষমতা রয়েছে বা কিভাবে কাজ করতে পারে?

এই মিসাইল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হলেও চীনের কোনও অঞ্চলকে টার্গেট করার জন্য এই মিসাইল তৈরি করা হচ্ছে না। কারন  ইতিমধ্যে ভারতের হাতে অগ্নি সিরিজের অন্য মিসাইল গুলি চীনের বিরুদ্ধে মোতায়েন করা আছে। তবে চীনের বিরুদ্ধে স্ট্রাটেজিক টার্গেট হিট করার জন্য কাজ করা মিসাইল মোতায়েন করার কথা ভাবা হচ্ছে। এবং চীনের এই স্ট্রেটেজিক টার্গেট হিট করার জন্য লং রেঞ্জ SLBM আর MIRVএর কাজ চলছে।

অগ্নি সিরিজের একাধিক মিসাইল ভারতবর্ষের হাতে থাকলেও আধুনিক এবং বিধ্বংসী ব্যালেস্টিক মিসাইল হল অগ্নি প্রাইম। মিসাইলটি কম্প্যক্ট আর ক্যনিস্টার বেসড সিস্টেম হওয়ার কারনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খুব সহজেই নিয়ে যাওয়া যায়। সেই কারনে যদি কেউ ভেবে থাকে যে এই মিসাইল গুলি শুধু মাত্র পাকিস্তানের বিরুদ্দে ব্যবহার করা হবে তাহলে ঠিক ভাবা হচ্ছে না কারন এটির একটি বড় উদ্দেশ্য যে চীন তা বলাই বাহুল্য। কারন চীনের ট্যাক্টিক্যাল টার্গেট যেমন মিলিটারি ইনস্টলেশান, রেডার সাইট, আর্মার্ড ও ইনফ্যন্ট্রি ভেহিকেলের ক্লাস্টার, মিলিটারি পরিকাঠামো আক্রমণ করা।

ভারতের হাতে লং রেঞ্জ ক্রুজ মিসাইলের অভাব রয়েছে। অর্থাৎ ১০০০ কিমির উপর ক্রুজ মিসাইল সেভাবে না থাকার কারনে অগ্নি প্রাইমকে ট্যাক্টিক্যাল টার্গেটের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে।

এটি যে শুধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভেবে তৈরি করা হয়নি তার প্রধান কারন হল এই মিসাইলের ম্যানুভার করার ক্ষমতা। কারন পাকিস্তানের হাতে ব্যালেস্টিল মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম নেই সেই কারনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পৃথ্বীর মতো মিসাইল ব্যবহার করা যথেষ্ট। কারনে এই পৃথ্বী মিসাইলকে ঠেকানোর মতো ক্ষমতাই নেই তাদের কাছে। তবে প্রাইমের মতো মিসাইল ম্যানুভার করতে সক্ষম যা অর্থাৎ চীনের এস ৩০০ বা এস ৪০০ ডিফেন্স সিস্টেমের কথা মাথায় রেখেই এই মিসাইল তৈরি করা হয়েছে।

চীনের বেশ কিছু স্থান এই মিসাইলের রেঞ্জের মধ্যেই আছে। যেমন চেংদু বা সিচুয়ানের মতো শহর। তবে হংকং ও এই মিসাইলের রেঞ্জের মধ্যেই পড়ে। 

প্রাইমের রেঞ্জ কম করে দেখান হয়েছে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। সুতরাং এই মিসাইলের রেঞ্জ যদি ২০০০ কিমি ধরা হয় সেক্ষেত্রে এটি ম্যনুয়েভারেবেল রিএন্ট্রি ভেহিকেলের ওপর রেখে ভবিষ্যতে এটিকে অ্যান্টিশিপ ব্যালেস্টিক মিসাইল লাক্ষাদ্বীপ এবং আন্দামানে মোতায়েন করা হতে পারে। এর ফলে ভারত মাহাসাগরে চীনের রণতরীর জন্য এক বিরাট কারন হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে প্রাইম চীনের দংফেং ২১ র মতো সব ভার্সনকে ছাপিয়ে গেছে বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের।

চীনের সবথেকে বড় চিন্তার কারন হল যে তাদের ব্যালেস্টিক মিসাইল গুলির বিরুদ্ধে ভারতবর্ষ যোগ্য জবাব দিতে যোগ্য সিস্টেম মোতায়েন করছে।

চীনের দংফেং মিসাইল গুলির বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দিতে এখন ভারতবর্ষের হাতে বেশ কিছু অপশান রয়েছে। 

দংফেং ১৭ এর বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের হাতে রয়েছে শৌর্যের মতো মিসাইল এবং ভবিষ্যতে HSTDV ভিত্তিক সিস্টেম।

চীনের দংফেং ১৫/১৬ এবং ২১ এর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রাইম। এবং দংফেং ২৬ এর বিরুদ্ধে অগ্নি ৫।

বলা বাহুল্য যে ভারতবর্ষের হাতে আসা এই অগ্নি প্রাইম মিসাইলকে ইন্টারসেপ্ট করার ক্ষমতা রাশিয়ার হাতেও নেই। আর সেখানে চীন তো কোন দূর অস্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.