ভারত

চীন পাকিস্তানের রেডার, যোগাযোগ ব্যবস্থা শনাক্ত করতে ভারতবর্ষের কাছে কোন গোত্রের যুদ্ধবিমান আছে জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের বিমানবাহিনীতে একের পর এক অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক মানের ড্রোন বা অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম আসছে। 

ভারতবর্ষের বিমানবাহিনীর জন্য ৭টি সিগনাল ইন্টেলিজেন্স আর কমিউনিকেশান জ্যমিং এয়ারক্রাফট আসতে চলেছে।  অর্থাৎ এমন ৫ টি বিমান আসতে চলেছে যা সিগনাল ইন্টেলিজেন্স আর কমিউনিকেশান জ্যম পারফর্ম করতে সক্ষম হবে। আর ২টি এমন হবে যা শুধু সিগনাল ইন্টেলিজেন্সের কাজ করতে পারবে।

অর্থাৎ দুই ধরণের সিস্টেমের জন্য  একই ক্লাসের বিমানের কথা বলা হয়েছে এখানে। সিগনাল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে ৪০০কিমি রেঞ্জ হওয়া বাধ্যতামূলক আর কমিউনিকেশান জ্যমিং এর ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৩০০০ মেগা হার্ৎজের ফ্রিকুয়েন্সি পর্যবেক্ষণ, জ্যমিং করার জন্য ন্যরো আর ওয়াইড ব্যন্ড রিসিভার থাকবে।

পুরো সিস্টেম C4I2, ESM, ECCM, ECM, SATCOM, ELINT, COMINT, AESA RADAR, EO POD, DATA LINK  মত জিনিস থাকা বাধ্যতামূলক।

সিগনাল ইন্টেলিজেন্স বা SIGINT কি? আসলে এটি হল শত্রুপক্ষের এয়ারডেফেন্স, রেডার, কমিউনিকেশান লিংক ইত্যাদি থেকে যে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি নির্গত হয় তা বহু দুরে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের বিমানে থাকে বিশেষ প্যসিভ সেন্সর। যা এগুলোকে শনাক্ত করার পাশাপাশি ফ্রিকুয়েন্সে পর্যবেক্ষণ করে সেটির সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করে। এর ফলে শত্রুর বিভিন্ন স্থানে কি কি মোতায়েন করা আছে তার পূর্ণ চিত্র আমরা পেতে পারি। খুব জটিল আর কর্যকরি প্রক্রিয়া। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারে এই ধরনের বিমান থাকাটা ভীষণ গুরূত্বপূর্ণ।

আর কমিউনিকেশান জ্যমিং কি? সেটা কমবেশি অনেকেরই জানা। এর আগে কংগ্রেস সরকার ২০১২ সালে এক টেন্ডার ডেকেছিল ১২টি বিমানের জন্য। যদিও বাকি টেন্ডারের মত এই টেন্ডার শুধু RFI এ সীমাবদ্ধ থেকে গেছে।

এই ধরনের ইসরায়েলের ELI-3001 বেশ এগিয়ে থাকবে। তবে সুইডিশ সাব বা মার্কিন রেথিওনের প্রোডাক্টও খুবই ভালো। সেক্ষেত্রে ELI-3001 নেওয়া এমন সেন্সিটিভ প্ল্যর্টফর্মের ক্ষেত্রে বেশি প্রধান্য পাবে বলে আশা করা যায়। সুইডিশরা অত্যন্ত ভালো হলেও তাদের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক আছে। তবে একটা কথা বললেই নয় তাহল টেন্ডারে কোনো বিদেশী কোম্পানির থাকাই উচিত না। ডিআরডিও এখন এসব ক্ষেত্রে নিজেই সাবলম্বী। তারা দুটি দূর্দান্ত এ্যওয়াক্স প্রোজেক্ট টেকনিকালি সম্পন্ম করেছে। ISTAR এর মত জটিল এলগরিদমের কাজ সম্পন্ন করেছে ইতিমধ্যে তারা। এরকম ধরনের টেকনোলোজির জন্য এখন ভারতবরসেরদরকার প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.