ভারত

মুঘলদেরকে ১৭ বার পরাজিত করেছিল ভারতবর্ষের যে হিন্দু রাজা

রাজেশ রায়:— বিশাল মুঘল সাম্রাজ্য গোটা ভারত জুড়ে বিস্তৃত ছিল। কিন্ত জানেন কী অধিকাংশ ভারত দখল করলেও আসামে তেমন সাফল্য পায়নি মুঘল সম্রাটরা। আসামের অহম রাজত্ব বারবার মুঘলদের পরাস্ত করেছিল। প্রথমেই জানা দরকার অহম কারা। এই নিয়ে অনেক মতবাদ আছে। এক পক্ষের বক্তব্য হচ্ছে তেরো শতকে বর্তমান মায়ানমারা থেকে অহমরা এসে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বসবাস শুরু করে। আবার আরেক পক্ষের বক্তব্য অহম রাজবংশের সূচনা হয়েছিল ১২২৮ সালে শুকাপার নেতৃত্বে। শুকাপা পাটকাই পর্বত অতিক্রম করে মোং মাও থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল৷ এই মোং মাও আজকের চীনের ইউনানা প্রদেশ। তবে যাইহোক প্রথম থেকেই গোটা অসমের অধিপতি ছিলনা অহমরা। সেসময় গোটা অসম জুড়ে বেশ কয়েকটি রাজবংশের রাজত্ব ছিল। 

অহমরা প্রথমেই স্থানীয় মানুষদের সাথে ভালভাবে মিশে যায় এরপর ষোলো শতকে সাদিয়া রাজবংশকে পরাস্ত করে আসামে শক্তিশালী হয়ে ওঠে অহমরা। ধীরে ধীরে দক্ষিন আসামের ডিমাসা রাজবংশ এবং পশ্চিম আসামের বারো ভুইয়ার রাজবংশকে পরাজিত করে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কিন্তু সাথে সাথে তাদের উপর আফগান ও মুঘল শাসকদের আক্রমন বাড়তে থাকে। প্রথমে অহম ও মুঘলদের শত্রুতা সম্পর্কে বলা যাক। অহম ও মুঘলদের মধ্যে শত্রুতার অনেক কারন ছিল যার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারন ছিল মুঘলদের আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদ। মুঘলরা ভারতবর্ষে একের পর এক রাজ্য দখল করো বিশাল মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছিল। সেই অনুযায়ী পুরো উত্তর পূর্ব ভারত মুঘলরা দখল করে সেখানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রাজাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখা উদ্দেশ্য ছিল মুঘলদের কিন্তু অহমরা মুঘলদেরকে বাধা দেয় যার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে অনেকবারই যুদ্ধ হয়। ১৬১৩ সাল থেকেই অহম ও মুঘলদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। ১৬১৬ সালে প্রথম মুঘল ও অহম যুদ্ধ হয় যাকে সামধারার যুদ্ধ বলা হয়। রতন সিং নামে এক মুঘল ব্যাবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে আসামে অবৈধ ভাবে ব্যাবসা করছিল তা জানতে পেরে আসামের রাজা সেই ব্যাবসায়ীর ধনসম্পত্তি আটক করে তাকে আসাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে মুঘলরা যুদ্ধ করবার একটা বাহানা পেয়ে যায়। আবু বকর ও ভুষানার রাজা শত্রজিত আসামের একটি পুরোনো রাজধানী বারনগর অতর্কিতে আক্রমন করে দখল করে নেয় এবং বারেলি সঙ্গম পর্যন্ত এগিয়ে আসে। অহমরা এই খবর জানতে পেরে একমাস পর তারাও অতর্কিতে মুঘল সেনার উপর হামলা করে। সামধারার কাছে এই যুদ্ধে মুঘলদের শোচনীয় পরাজয় হয় এবং তাদের অনেক সেনা মারা যায় এবং বাকী মুঘল সেনা ভয়ে পালিয়ে যায়। এভাবে সামধারার যুদ্ধে মুঘলরা অহমদের কাছে পরাজিত হয়। তবে এরপরেও মুঘলরা ছোট ছোট আক্রমন করতে থাকে তবে সেগুলো এমন উল্লেখযোগ্য নয়। এরপর আবার মুঘলরা অহমদের উপর তাদের দ্বিতীয় বড় আক্রমনের পরিকল্পনা করে। 

প্রথম যুদ্ধে হারার পর কুড়ি বছর মুঘলরা শান্ত থাকে এরপর ১৬৩৬ সালে আসামের কামরূপে অহম সাম্রাজ্যের উপর বিশাল আক্রমন করে। এই আক্রমনে অহমরা প্রথমে পিছু হটে কিন্তু ১৬৩৮ সালে অহমরা আবার প্রবল আক্রমন করে মুঘলদের উপর। সামধারার কাছে আরও একবার দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয় যাতে আবারও মুঘলরা পরাজিত হয়। তবে এই যুদ্ধে দুই পক্ষেরই প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং উভয় পক্ষেরই অনেক সেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধে অহমদের নেভির প্রধানের মৃত্যু হয় তাও অহমরা জয় লাভ করে। তবে এই যুদ্ধের পর উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয়। ১৬৩৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুঘল কম্যান্ডার আল্লাহ ইয়ার খান এবং অহম জেনারেল মোমাই তামুলি বোরবারুয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি হয় যাকে আসুরার চুক্তি বলা হয়। চুক্তি অনুযায়ী গৌহাটি থেকে পশ্চিম আসাম মুঘলদের অধীনে আসে এবং বাকী আসামে অহমদের রাজত্বকে স্বীকার করে মুঘলরা এবং উভয় পক্ষের মধ্যে বানিজ্য চলতে থাকে। তবে কেউই এই চুক্তি সঠিক ভাবে মানত না এবং ছোট খাটো ঝামেলা চলতেই থাকত উভয়পক্ষের মধ্যে। 

চুক্তির নয় বছর পর ১৬৪৮ সালে গৌহাটির মুঘল শাসক অহমদের নতুন রাজা জয়ধ্বজকে অভিনন্দন জানায় কিন্তু জয়ধ্বজ পুরো সেনা নিয়ে গৌহাটি আক্রমন করে মুঘলদের থেকে পুরো পশ্চিম আসাম দখল করে ঢাকা পর্যন্ত মুঘলদের তাড়া করে ব্যাপক ক্ষতি করে এবং অনেক মুঘল সেনাকে বন্দি করে আসামে নিয়ে আসে। আসলে মুঘল শাসক শাহজাহানের সময়ে মুঘল সাম্রাজ্যে যে ডামাডোল তৈরি হয় সেই সুযোগে জয়ধ্বজ আক্রমন করে। এরপর ঔরাঙ্গজেব মুঘল সম্রাট হয়ে মীর জুমলাকে আসাম আক্রমনের আদেশ দেয়। ১৬৬২ সালে মীরজুমলা গৌহাটি আক্রমন করে দখল করে নেয়। সেইসময় স্ট্রাটেজিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ দুই শহর পান্ডু ও খাজলি ও দখল করে নেয় মুঘলরা। তবে সেসময় অহম সেনার মধ্যে আভ্যন্তরীন ঝামেলার কারনে মুঘলরা এতটা দখল করতে পেরেছিল। এরপর মীরজুমলা কালিয়াবোর এলে সেখানে অহমদের সাথে মুঘলদের ভয়ানক সংঘর্ষ হয়। পুনরায় একবার সামধারার কাছে ভয়ানক যুদ্ধ হয়। এবার মুঘল সেনারা সংখ্যায় অনেক বেশী হওয়ায় অহমরা পীছু হটে যায়। 

মীরজুমলা অহমদের রাজধানী ঘারগনভে আক্রমন করে এবং জয়ধ্বজ পালিয়ে যায় বাধ্য হয়ে। কিন্তু আসাম আজও অত্যন্ত বন্যা প্রবন এলাকা। সেসময় মুঘলদের দুর্ভাগ্য এটা যে প্রবল বর্ষন শুরু হয় এবং ব্যাপক বন্যা হয় আসাম জুড়ে যাতে অনেক মুঘল সেনা মারা যায় এবং মুঘলদের ঢাকা বেসের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগে অহমরা মুঘলদের উপর আক্রমন করে তাদের পরাজিত করে। অন্যদিকে মুঘল শিবিরে এক মহামারী দেখা যায় যাতে বহু মুঘল সেনা মারা যায়। সব মিলিয়ে মুঘলরা ভয়ানক দুর্দশায় পড়ে। সেপ্টেম্বর আসতে আসতে বর্ষা বন্ধ হলে আবারও মুঘলদের সাথে অহমদের যুদ্ধ হয় এবং ১৬৬৩ সালে দুপক্ষের মধ্যে ঘিলারিঘাটি নামে একটি শান্তি চুক্তি হয়। এইসময় হঠাৎই জয়ধ্বজের মৃত্যু হয় এবং তার পর অহমদের রাজা হয় চক্রধ্বজ। চক্রধ্বজ রাজ হয়েই ১৬৬৫ সালে ঘিলারিঘাটি চুক্তি অস্বীকার করে গৌহাটিতে মুঘলদের উপর আক্রমন করে এবং মাত্র দুমাসেই পুরো আসাম অহমদের অধীনে চলে আসে আবার। এতে ঔরাঙ্গজেব তীব্র অখুশী হয়ে এই সমস্যা একবারে শেষ করবার জন্য আম্বেরের রাজা রাম সিং এর নেতৃত্বে বিশাল সেনা পাঠায় অহমদের আক্রমন করতে ১৬৭১ সালে। এই পুরো সেনাবহরে ছিল ৪০০০ বিশেষ সেনা রামসিং এর, ১৫০০ ঔরাঙ্গজেবের সেনা, ১৮০০০ অশ্বারোহী সেনা, ৩০০০০ স্থলসেনা, ২০০০ তীরন্দাজ, ২১ টি রাজপুত ঠাকুরদের সেনা এবং ৪০ টি যুদ্ধজাহাজ। এছাড়াও কোচবিহারে মুঘলদের আধিপত্য ছিল সেখান থেকেও ১০-১৫ হাজার স্থল ও অশ্বারোহী সেনা যোগ দেয়। অর্থাৎ প্রায় ৭৫,০০০-৮০,০০০ বিশাল মুঘল সেনা গেছিল অহমদের সাথে যুদ্ধ করতে। এত বিশাল সেনার সাথে অহমরা সরাসরি যুদ্ধের বদলে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে। অহমদের জেনারেল লাচিত বোরফুকান এই কৌশল নিয়েছিল। 

লাচিত গৌহাটিতে মুঘলদের আটকাবার ব্যবস্থা ঠিক করে। গৌহাটির কাছে দুই পাহড়ের মাঝখানে একটি সরু রাস্তা আছে যা দিয়ে আসামের আরও গভীরে প্রবেশ করা যায়। লাচিত ও অহম সেনা এখানে একটি মাটির দেওয়াল তৈরি করে ফলে আসামে প্রবেশ করতে গেলে মুঘল সেনাকে ব্রহ্মপুত্র অতিক্রম করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। সরাইঘাটের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদী ছিল খুবই সংকীর্ণ যা চওড়ায় এক কিলোমিটারেরও কম ছিল। মুঘলদের নেভি ছিল খুবই দুর্বল তাই এখানেই যুদ্ধ করবার পরিকল্পনা করে লাচিত। যদিও ঔরাঙ্গজেব শায়েস্তা খানের নেতৃত্বে বিশাল নেভি পাঠিয়েছিল। অন্যদিকে লাচিত রামসিং কে বার্তা পাঠিয়ে জানায় সে মুঘল সেনা দেখে ভয় পেয়েছে এবং সন্ধি করতে প্রস্তত। আসলে রাম সিংকে বোকা বানিয়ে লাচিত ততদিনে আসন্ন যুদ্ধের প্রস্ততি নিতে থাকে। প্রস্ততি সম্পন্ন হতেই লাচিত রাম সিংকে বার্তা দিয়ে জানায় রাম সিং মুঘল সাম্রাজ্যের একজন চাকর সে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত শাসকের সাথে কথা বলবে। প্রচন্ড অপমানিত হয়ে রাম সিং গৌহাটি আক্রমনের পরিকল্পনা করে। গৌহাটির চারিদিকে উঁচু পার্বত্য অঞ্চল রয়েছে। যেই মুঘল সেনা গৌহাটির দিকে যাত্রা শুরু করে তখনই আগে থেকে প্রস্তত থাকা অহম সেনা পাহাড়ের উপর থেকে মুঘল সেনার উপর গেরিলা আক্রমন করে লুকিয়ে পড়ত। এভাবে বারংবার আক্রমনের ফলে প্রচুর মুঘল সেনা মারা যায় এবং রাম সিং সরাইঘাটের সংকীর্ণ পথ দিয়ে মুঘল সেনাকে আসামে ঢুকতে বলে। ঠিক এটাই চাইছিল অহমরা। ব্রহ্মপুত্র নদী এলকায় তিনদিক দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় মুঘল দের। ইটাখুলি পাহাড়, কামাখ্যা পাহাড় এবং অশ্বভক্রান্ত পাহাড় এই তিনদিক দিয়ে একসাথে আক্রমন করা হয় মুঘলদের উপর। মুঘল নেভির অ্যাডমিরাল মোনোবর খান সহ আরও তিন প্রধান অ্যাডমিরাল ও প্রায় ৪০০০ মুঘল সেনা মারা যায়। কয়েক হাজার সেনা আহত অবস্থায় পড়ে থাকে। অধিকাংশ মুঘল সেনা বাধ্য হয়ো মানস নদী অবধি পালিয়ে যায়। এভাবে ঔরাঙ্গজেবের বিশাল সেনা অনেক কম সংখ্যক অহম সেনার কাছে লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়। ইতিহাসে এই যুদ্ধ সরাইঘাটের যুদ্ধ নামে পরিচিত যাতে ঔরাঙ্গজেব শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। 

সরাইঘাটের যুদ্ধের আট বছর পর ১৬৭৯ সালে অহমদের রাজ সুদোইফার সময়ে গৌহাটির কম্যান্ডার হয় লালুক বারফুকান। বাংলার মুঘল সুবেদার আজমা শা তাকে সরাইঘাটের বদলে চার লাখ টাকা ঘুষ দেবার জন্য অনুরোধ করে এবং লালুককে ভবিষ্যতে আসামের রাজা করবার প্রস্তাবও দেয়। লোভে পড়ে লালুক এই প্রস্তাব গ্রহন করে এবং আজাম শাকে গৌহাটিতে ডাকে। এভাবে কোন যুদ্ধ ছাড়াই আবারও গৌহাটি মুঘলরা দখল করে। কিন্তু কাহিনী এখানেই শেষ নয়। এরপর অহম ও মুঘলদের মধ্যে অন্তিম বারের মতন একটি রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ হয় যাকে ইটাখুলির যুদ্ধ বলা হয়। এতে হারবার পর আর কোনওদিন মুঘলরা আসাম দখল করতে আসেনি। 

১৬৮১ সালে অহমদের নতুন রাজা হয় গদাধর সিং। ১৬৮২ সালের মার্চ মাস থেকেই তিনি গৌহাটি থেকে মুঘলদের তাড়াবার পরিকল্পনা শুরু করেন। ডিহিংগিয়া বলুন বারবারুয়ার নেতৃত্বে গৌহাটিতে মুঘলদের উপর তিনদিক দিয়ে আক্রমনের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। ব্রহ্মপুত্র নদীর দুই দিক দিয়ে আক্রমন শুরু হয় কিন্তু মুঘলরা তেমন কোন প্রতিরোধই করতে পারেনি। কারন সেসময় দাক্ষিনাত্যে ঔরাঙ্গজেব মারাঠাদের সাথে যুদ্ধে ব্যাস্ত ছিল এবং বাংলাতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে মুঘলদের ঝামেল চলছিল যার করনে গৌহাটিতে দুর্বল মুঘলসেনা অহমদের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যায়। একমাত্র ইটাখুলিতে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। ১৬৮২ সালের ১৫ আগস্ট ইটাখুলিতে মুঘলদের লজ্জাজনক পরাজয় হয় এবং মুঘল সুবেদার আলি আকবর ভয়ে পালিয়ে যায়। ১২২৮ সালে তৈরি হওয়া অহম সাম্রাজ্যে ১৮২৬ পর্যন্ত চলেছিল, এরপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অহমদের পরাজিত করে আসামে ব্রিটিশ শাসন শুরু করে। আজও পুরো উত্তর পূর্ব ভারতে সরাইঘাটের যুদ্ধকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে স্মরন করা হয়। আসামের লোকগীতে এই যুদ্ধের কথা বলা হয়। সরাইঘাট যুদ্ধের মূল নায়ক লচিতের সম্মানে ২৪ নভেম্বর প্রতিবছর আসামে লচিত দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে ন্যাশানাল ডিফেন্স অ্যাকডেমি থেকে পাশ করা সবচেয়ে ভাল ক্যান্ডিডেটকে লচিত বুরফুকান গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়। ভারতের ইতিহাসের একর স্বর্নালী অধ্যায় এই অহম সাম্রাজ্য যারা ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৭ বার বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যকে লজ্জাজনক ভাবে পরাস্ত করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.