১৯৬৭ তে ভারত-চীন যুদ্ধে চীনের কত জন সেনার প্রান গেছিল জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ শত্রু পক্ষকে নিজের দুর্বলতা কোনোদিন জানতে দিতে নেই। তাহলেই একাধিক অসুবিধার সম্মুক্ষিন হতে হয়। অর্থাৎ মানুষিক ভাবে চাঙ্গা থাকাটা ভীষণ জরুরী। দেশের সামরিক ক্ষেত্রে শত্রুর বিরুদ্ধে ঠিক তেমনই অবস্থান দরকার। নিজেকে শতিশালি না ভাবলে বা প্রমান করলে তার ফায়দা তুলবেই অপরপক্ষ।
মানুষিক অবস্থান ই সবকিছু। মানসিক বল থাকা দরকার কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য। শক্তিশালী বিপক্ষের মোকাবিলা করার আগে যদি মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়েন তাহলে তো আপনি চ্যালেঞ্জ নেওয়ার আগেই হেরে গেলেন।
২০০৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে আগে China Study Group এর এক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে LAC অঞ্চলে স্ট্রাটেজিক রোড নির্মাণ বিষয়ে ভাইস আর্মি চিফ অফ স্টাফ উপস্থিত ছিলেন। তৎকালীন হোম সেক্রেটারি আর্মি প্রতিনিধি কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে LAC অঞ্চলে উত্তর থেকে দক্ষিণ অঞ্চলে রাস্তা নির্মানের গতি এত কম কেন? তার উত্তর ছিল সরকারের মতে রাস্তা তৈরী হলে PLA ওই রাস্তা ব্যাবহার করেই ভারত ঢুকবে। আর সেই কারনে ক্রুদ্ধ হোম সেক্রেটারি বলেন সেই হিসাবে তো রাজধানী দিল্লির রাস্তা ঘাট নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ ইতিমধ্যে।
Mindset এই শব্দটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ। যদি ইতিহাসের দিকে তাকান যায় তাহলে দেখা যাবে ১৯৬২ সালে চীন গালওয়ান উপত্যকায় থেকে সরে গিয়েছিল, তারপর ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে অতর্কিতে ভারত কে আক্রমণ করে বসে। তৎকালীন সরকার এর অদূরদর্শী ও অবাস্তব মনোভাব কারণেই যে ভারত পরাজিত হয়েছিল তা নিয়ে দ্বিমত নেই। কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি এর দোষ দিয়ে এরকম নিম্নমানের চিন্তা তৈরী করে। চীন খুব শক্তিশালী ভারত ওদের মোকাবেলা করতে অক্ষম।
১৯৬৭ সালে নাথুলা সংঘাত এ PLA যে ভাল মার খেয়েছিল তা নিয়েও আবার দ্বিমত নেই। ৪০০ সেনা খুইয়ে ছিল চীন এবং তা বেমালুম চেপে যায় তারা। ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনাম সঙ্গে যুদ্ধ হয় চীনের। পাহাড়ের চেয়ে উঁচু, সাগরের চেয়ে শক্তিশালী PLA আবার এক বিপর্যয়ের মধ্যে পরে। ভিয়েতনাম পাহাড় ও জঙ্গলে চীন ৩০থেকে ৪০ হাজার সেনা খুইয়ে পিছু হটে যায়।
গালওয়ান উপত্যকায় ঘটনা, যেখানে চীনা সেনা ও ভারতের সংঘর্ষের পর চীনারা পিছু হটে যায় দুই তিন দিন বাদে। চীনের মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস বহু হুমকির সত্ত্বেও ভারত তার স্থান আঁকড়ে আছে ও মজবুত করেছে।
ভারত সরকার চীনের আসল ক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। অবশ্য বড় দেশ জিডিপি বেশি বিনয়োগ হওয়ার কারণে তাদের সেনা আয়তন ভারতবর্ষের থেকে বেশী। কিন্তু যুদ্ধের সক্ষমতা ভারত যে অনেক এগিয়ে তা ইতিমধ্যে প্রমান পেয়েছে সারা বিশ্ব। তবু চীনের কিছু এজেন্ট ভারতবর্ষের মানুষিক বল ভেঙে দিতে ব্যস্ত। তবে হ্যা শত্রুকে দুর্বল ভাবা ও ঠিক নয়।