চীন সীমান্তে কেন ভারতবর্ষের গোয়েন্দা বিমান মোতায়েন। কি এমন কারন ছিল?
নিউজ ডেস্কঃ চীনের বিরুদ্ধে কোনোরকম পদক্ষেপ নিতে পিছুপা হবেনা ভারতীয় সেনা। আর ইতিমধ্যে তা চীনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। চীনের আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে লড়তে যথেষ্ট প্রস্তুত সেনা। লাদাখে লজিস্টিক সাপোর্ট সহ বেশ ভালোভাবেই ছিল ভারতীয় সেনা। কঠিন ঠাণ্ডার মধ্যে লড়তে আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক ড্রেসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এবার চীনের বিরুদ্ধে কোনোরকম ভাবে কমতি রাখা যাবেনা। আর সেই কারনে চীন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র।
ভারতের অন্যতম আধুনিক স্পাই এয়ারক্রাফট Bombardier Global 5000 বর্তমানে চীন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছিল। এই বিমান গুলি পরিচালনা করে Aviation Research Center। আর এই সেন্টার টি পরিচালনার দায়িত্বে থাকে ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড আনালিসিস উইংস(RAW)।
গ্লোবাল ৫০০০ হল পৃথিবীর অন্যতম সর্বচ্চ শক্তিশালী গোয়েন্দা বিমান। গ্লোবাল ৫০০০ বিমান দ্বারা একসাথে অনেক গুলি মিশন এবং surveillance and reconnaissance চালাতে সক্ষম বিমানটির ইলেকট্রো-অপ্টিক্যল পেলোড ও সিন্থেটিক এ্যপার্চার রেডারের মাধ্যমে। এই বিমান দ্বারা ভারত তাদের নিজেদের আকাশসীমার মধ্যে থেকেও চীনের অভ্যন্তরে ১৮০কিমি এলাকা পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য এবং নজর রাখতে সক্ষম হবে।
সিগনাল ইন্টেলিজেন্স ও ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্সের পাশাপাশি বিমানটিতে EL/I-3001 Airborne Integrated Signal Intelligence System (AISIS), EL/M-2060 পড বেসড্ সিন্থেটিক এ্যপার্চার রেডার সিস্টেম রয়েছে, যার রেঞ্জ ৪০০কিমি। শুধু তাই নয় টার্গেট শনাক্তকরনের জন্য রয়েছে EL/M-2055।
পুরো বিমানের সুরক্ষার জন্য রয়েছে মিসাইল এ্যপ্রচিং এ্যন্ড ওয়ার্নিং সিস্টেম, রেডার ওয়ার্নিং রিসিভার, ইলেকট্রনিক কাউন্টার মেজর যেমন শাফ ও ফ্লারে। স্যটেলাইট কমিউনিকেশান সুইট ও কমিউনিকেশান ইন্টেলিজেন্সের (COMINT) সাথে এর ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্স (ELINT) ও সিগনাল ইন্টেলিজেন্স (SIGINT) খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি এটি শত্রু পক্ষের প্রতিটি গতিবিধি বুঝতে সক্ষম। অর্থাৎ চীনের সেনারা কে কোথায় কার সাথে ওয়ারলেস মোবাইলে কথা বলছে, কোথায় শত্রুপক্ষের ডাটা লিংক আছে, কোথায় শত্রুর বিমান উড্ডয়ন করছে বা স্যাম সিস্টেম, রেডার সিস্টেম মোতায়েন করা রয়েছে। সব কিছু এই বিমান যোগার করে তাকে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। এর ক্ষমতা এতোটাই বেশি যে যতটা বলা হবে ততটাই হয় কম।