চীন

গোপনে ভয়ঙ্কর যে টেকনোলোজি তৈরির পথে চীন? সমীক্ষায় উঠে আসা রিপোর্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে যে কারনে

নিউজ ডেস্কঃ চীন তাদের প্রচুর অস্ত্র যে চুরি করে বানিয়েছে তা একাধিকবার ধরা পড়েছে। এবং সেই কারনে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ কয়েকবার মুখ ও পুড়েছে। তবে তারা চুরি থামাবে না এবং এই করেই তাদের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির রমরমা চালিয়ে যাবে। কিছুদিন আগেই ভারতের এক মিসাইল নকল করতে গিয়ে ধরা পরে এবং তিনবার ফেল ও করে। এবার তারা নতুন যুদ্ধবিমান বানাতে শুরু করেছে এবং স্যাটেলাইট তা ধরাও পড়েছে।

চীনের প্রোডাকশন হাব ইয়ানলিয়াংয়ে এই যুদ্ধবিমান তৈরি করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই স্যাটেলাইট ইমেজে এই বিমানের বেশ কিছু ছবি ধরা পড়েছে। ছবিতে দেখা গেছে ওয়াই-২০ নামের ওই এয়ারক্রাফটের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

গোপনভাবে তৈরি করা চীনের এই যুদ্ধবিমানের নাম দেওয়া হয়েছে “কিনপেং”। কিনপেং হল চীনের এক পৌরাণিক পাখি যা হাজার হাজার কিমি উড়ে যেতে পারত। চীনের সরকারি সংস্থা ‘অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অফ চায়না’ ওই এয়ারক্রাফট গুলি তৈরি করছে বলে সূত্রের খবর। এইসকল বিমান গুলির সাথে রাশিয়ার আইএল-৭৬ এয়ারক্রাফটের বেশ মিল আছে। রাশিয়ার এই বিমান ভারতের কাছেও রয়েছে।

অন্যদিকে চীনের এই এয়ারক্রাফটের সঙ্গে আমেরিকার এয়ারফোর্সের সি-১ গ্লোবমাস্টারেরও অনেক মিল রয়েছে। বিশেষ করে বিমানের পেছনের অংশে বিরাট মিল আছে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিমান ভারতবর্ষের হাতেও রয়েছে।

চীনের এই ওয়াই-২০ বিমান ২০০ মেট্রিক টন লোডের জন্য বানানো হয়েছে বলে অনুমান করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞরা। জরুরী পরিস্থিতিতে মূলত সেনা এবং অস্ত্র বহনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এই বিমান গুলিকে। পাশাপাশি এই বিমানে চীনের ইলেকট্রিক ওয়ারফেয়ার বা রিফুয়েলিং ইকুইপমেন্টও বহন করা হতে পারে। বিশেষত প্রতিকূল আবহাওয়াতেও যাতে দ্রুত অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই কথা মাথায় রেখেই এই বিমান তৈরি করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে প্রথমবার আকাশে দেখা যায় এই চীনা বিমানটিকে।

২০১৯ সালে এটি অফিশিয়ালি তাদের সেনাবাহিনীতে আসলেও এখনও বেশ কিছু কাজ রাশিয়ান যুদ্ধবিমানের টেকনোলোজি থেকে চুরি করে করছে বলে মত সামরিক বিশারদদের একাংশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.