পুতিন পড়াশোনার পাশাপাশি জুডো প্রাকটিস করতেন। ব্ল্যাক বেল্টও রয়েছে। পুতিনের অবাক করা কিছু তথ্য
নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া তথা গোটা বিশ্বের অন্যতম সেরা লিডার বলা হয়ে থাকে ভ্লাদিমির পুতিনকে। রাশিয়াতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শুধু শাসন করেননি পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর রাশিয়াকে উপরে তুলতে বিরাটভাবে সাহায্য করেছে পুতিন। তবে পুতিনের জীবন বাকি মানুষদের মতো সজা ছিলনা।
১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের লেলিনগ্রাদ শহরে ওনার জন্ম হয়। এই শহরে ১৯১৭ সালে লেলিন বিপ্লবের সূচনা করেছিল যার জন্য এই শহরের নাম লেলিনগ্রাদ, বর্তমানে এই শহরের নাম সেন্ট পিটার্স বার্গ। পুতিনের আরও দুই ভাই ছিল পিটার ও অ্যালবার্ট যারা পুতিনের জন্মের আগেই মারা যায়। পুতিনের বাবা একজন যোদ্ধা ছিল যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার হয়ে অসাধারণ যুদ্ধ করেছিলেন, তিনি রাশিয়ান সাবমেরিনে কাজ করতেন। পুতিনের মা একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। পুতিনের পরিবার লেলিনগ্রাদে একটি ছোট ঘরে থাকতেন। ছোট থেকে পুতিন তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পান নি। মাত্র ১৬ বছর কেজিবির অফিসে যান। তিনি অত্যন্ত সিনেমা দেখতে ভালবাসেন, স্পাই, ইনটেলিজেন্স মুভি ছোট থেকেই দেখতেন যার জন্য তার মনে স্পাই বা গুপ্তচর হওয়ার তীব্র ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বয়স কম হবার জন্য কেজিবি অফিসাররা তখন তাকে ফিরিয়ে দেয়।
সাত বছর পর আইনের ডিগ্রি পুরন করে তিনি আবার কেজিবির সাথে যুক্ত হন। পুতিন পড়াশোনার পাশাপাশি জুডো প্রাকটিস করতেন। তার ব্ল্যাক বেল্টও আছে। অত্যন্ত ধুরন্ধর বুদ্ধির অধিকারী পুতিন লোককে ইমপ্রেস করতে সিদ্ধহস্ত কেজিবিতে থাকার সময়ই তিনি এ বিদ্যা রপ্ত করেন। এরজন্য তিনি সমস্ত বিশ্ব লিডারদের সহজেই ইমপ্রেস করে ফেলেন। প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ পর্যন্ত পুতিনকে দেখে ইমপ্রেস হয়েছিলেন। তবে একমাত্র হিলারি ক্লিন্টনই পুতিনকে পচ্ছন্দ করত না। পুতিন মস্কোর সবচেয়ে ভাল কেজিবি স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তাকে পোস্টিং দেওয়া হয় জার্মানি তে। সেইসময় জার্মানি দুইভাগে ভাগ ছিল পূর্ব জার্মানি যার নিয়ন্ত্রণ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতে এবং পশ্চিম জার্মানির নিয়ন্ত্রণ ছিল আমেরিকার হাতে।