রাশিয়া যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতে পিছিয়ে পড়ছে
নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলির দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে এখনও ভারতের হাতে প্রায় ১০০ র উপর মিগ বিমান রয়েছে। বিশেষ করে মিগ ২১। যদিও এই মিগ বিমান গুলিকে আসতে আসতে অবসর করানো হচ্ছে। তবে সম্প্রতি মিগ ২৯ ক্রয় করেছে, যদিও সেগুলিকে একাধিক আপগ্রেড করানো হয়েছে। সেই কারনে মিগ ২৯ গুলিকে আর আগের মিগ ২৯ বলা যাবেনা। তবে মিগ বিমান গুলির অবস্থা যে শোচনীয় তা একাধিক সমীক্ষায় ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। মিগ বিমানকেই ফ্লাইং কফিন বলে ডাকা হয়ে থাকে। আর এই মিগ এখন সেভাবে মার্কেটের সাথে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছেনা।
দিনের পর দিন রাশিয়ার মিগ কোম্পানির বিপদ বেড়েই চলেছে।অ্যাভিয়েশন এর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে তাদের সর্বশেষ ভরসা হল মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমানটি। যা রাশিয়ার মিগ-২৯ এর আপগ্রেড ভার্সন। মিগ কোম্পানি একে চতুর্থ প্রজন্ম থেকে আপগ্রেড করে অত্যাধুনিক চতুর্থ প্রজন্মের বিমান বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের চেষ্টাই করেছে।তবে আশানুরূপ হয়নি।
আমেরিকার দুই জায়েন্ট কোম্পানি– বোয়িং ও লকহিড মার্টিন কে সমানে টেক্কা দিত রাশিয়ার দুই জায়েন্ট — সুখোই এবং মিগ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেদের রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট প্রসেস,নতুন যুদ্ধবিমান তৈরি,চোখে লাগার মতো কোন টেকনোলজি তৈরী না করায় ‘মিগ’ কোম্পানি সবার থেকে পিছিয়ে পরে। একটা সময় ছিল,যখন বিভিন্ন দেশ মিগ কোম্পানিরই একাধিক ফাইটার জেট ব্যবহার করেছে। ভারতই তো একত্রে চার-পাঁচ ধরনের মিগ কোম্পানির যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। অথচ এখন সেই মিগ কোম্পানি আমেরিকার কোম্পানি তো দুর,নিজের দেশের কোম্পানি সুখোই এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছে না।
মিগ কোম্পানির বড় ভরসা ছিল এই মিগ-৩৫ নিয়ে। কিন্তু রাশিয়া নিজেই ৬ টির বেশি মিগ-৩৫ অর্ডার করেনি। মিগ কোম্পানি আশা ছিল যে সুখোই কোম্পানির অনুপস্থিতিতে রাশিয়ান লবি খাটিয়ে ভারতের কাছে একশো এর অধিক মিগ-৩৫ বিক্রি করবে। তবে সব কিছু বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে মিগ-৩৫ এ কোন ইছা নেই ভারতের। মূলত চাপে পরেই শেষ পর্যন্ত রাশিয়া সুখোই কে টেন্ডার প্রকৃয়ার অংশ করে।
২০১৯ এ রাশিয়ায় হওয়া একটি এয়ারশো তে যখন একটি মিগ-৩৫ ডি (ডাবল সীট) ভারতীয় বায়ুসেনার এক অফিসারকে নিয়ে আকাশে ওড়ে, আর সেই সময় মাঝ আকাশে বিমানের ডানার ওপরের একটি প্যানেল মাঝ আকাশে খুলে পরে। যদিও তারপরে বিমান টি সুস্থ ভাবেই ল্যান্ডিং করতে পেরেছিল।
এই ধরনের ঘটনার পরে,বিমান তৈরির কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে এখন এটা খোলামেলা ব্যাপার যে, ভারতীয় বায়ুসেনা রাশিয়ার দিক থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে। সেক্ষেত্রে মিগ কোম্পানির উচিৎ তাদের নতুন বিমানের জন্য নতুন দেশ খোজা যারা অল্প সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধবিমান খোঁজ করেছে অথচ বাজেট অনেক কম। একমাত্র তারাই এখন মিগ-৩৫ এর বাজার হতে পারে।