বিমানে জ্বালানি ভরতে এবার ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার হতে চলেছে
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের বিমানবাহিনীর সবথেকে বড় সমস্যা হল রিফুয়েলিং ট্যাংকার। অর্থাৎ মাঝ আকাশে কোন বিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেল তখন আবার মাঝ আকাশ থেকে এয়ার বেসে এসে জ্বালানি ভরতে হবে? সাধারণত মাঝ আকাশেই যুদ্ধবিমানকে জ্বালানি ভরা হয়, তবে আজ বহু ধরে এই রিফুয়েল ট্যাংকারের সংখ্যা যথেষ্ট কম যা নিয়ে একাধিক সমস্যায় পরতে হয়েছে, তবে সম্প্রতি এইদিকে নজর দিয়েছে ভারত সরকার। খুব শীঘ্রই ভারতের বায়ুসেনার কাছে বেশ কিছু এই ট্যাংকার আসতে চলেছে।
বায়ুসেনার জন্য প্রথম এ-৩৩০ রিফুয়েলিং ট্যঙ্কার লিজ নেওয়ার ব্যাপারটি কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বিষয়ে বিমানবাহিনীর প্রধান ফ্রান্সে গিয়ে কথাবার্তা ফাইনাল করে এসেছেন। প্রথমাবস্থায় ১টি রিফুয়েলারের জন্য জন্য গভর্মেন্ট টু গভর্মেন্ট চুক্তি হবে। পাশাপাশি ইস্যু করা হবে আরএফআই ও। ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলটারা এই বিমানে ট্রেনিং করবে। এরপর অতিরিক্ত পাঁচটি এ-৩৩০ এর জন্য বিমানবাহিনী আরএফপি জারী করবে।
ফ্রান্সের এই এ-৩৩০ ভারতের বায়ুসেনার প্রধান রিফুয়েলিং ট্যঙ্কার হতে চলেছে ভবিষ্যতে। কারন আসতে আসতে পুরনো রিফুয়েলার গুলিকে রিপ্লেস করা হবে, তবে এখন নতুন বিমান অর্ডার করলে তা বিমানবাহিনীর হাতে আসতে প্রায় ৫ বছর সময় লেগে যাবে। আর সেই কারনে অল্প সময়ে কম খরচে লিজ নেওয়া ঠিক সিদ্ধান্ত বলে মত একাধিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের। তবে পৃথিবীর অম্যতম বৃহত্তম বায়ুসেনা আবার লিজের ওপর নির্ভর করাটা ঠিক নয়। এবং নজর রাখা দরকার যে বিমানবাহিনীর এই লিজ নেওয়াটা যেন অভ্যাসে পরিনত না হয়।