ভারত

মণিপুর থেকে নাগাল্যান্ড। রেকর্ড পরিমান রাস্তা মোদী সরকারের

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের সাথে চীনের বিবাদের অন্যতম একটি কারন হল রাস্তা নির্মাণ। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বর্ডার রোড এবং অন্যান্য স্ট্রেটেজিক পরিকাঠামো উন্নয়নে ঝাপিয়ে পড়ে। বিশেষ করে উত্তর পূর্বাঞ্চলে যেভাবে কাজ হয়েছে তা কল্পোনার অতীত। ইউপিএ এর আমলে যেখান উত্তর পূর্বের অঞ্চলে 0.6 কিমি রাস্তা প্রতিদিন তৈরি হত সেখানে 2014 সালের পর থেকে 1.5কিমি তৈরি হওয়া শুরু হল। 2009 থেকে 2014 সালের মধ্যে ইউপি আমলে যেখানে 1079.25 কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছিল সেখানে 2014 থেকে 2019 সালে ভারতের উত্তর পূর্বে মোট রাস্তা তৈরি হয়েছে 2731 কিলোমিটার। মূলত ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এই কাজ করতে সফলতা অর্জন করে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি রাস্তা পরিকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে আসামে 1011 কিলোমিটার। অরুণাচল প্রদেশ 851 কিলোমিটার এবং মণিপুরে 373 কিলোমিটার রাস্তা সম্পন্ন হয়েছে। মিজোরামে 233কিমি, মেঘালয়ে 205কিমি, ত্রিপুরা 196কিমি, সিকিম 105কিমি ও নাগাল্যন্ডে সব থেকে কম 67কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে।

এরপর অতিরিক্ত 12 হাজার কিলোমিটার রাস্তা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে তৈরি করার জন্য ভারত সরকার 1 লক্ষ 90 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। শুধু 2019 সালে সারা ভারতে মোদি সরকার 60 হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি চীনের কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডোকলামের কাছে ভারতের 19.72 কিলোমিটার রাস্তা। যা এক কথায় চীনের একাধিপত্যের ওপর এক বিরাট চ্যলেঞ্জ। এর নাম ভিম-বেস ডোকালা রোড। এই বেস ভারতকে সব থেকে বড় সুবিধা দিয়ে থাকে চীনের বিরুদ্ধে। কারন এখনে পুরো ভৌগলিক সুবিধা ভারতের অধীন। এই রোড নির্মানের আগে এই বেসে লজিস্টিক সাপোর্ট পৌছাতে ৭ঘন্টা লাগতো। রোড নির্মানের পর তার এখন ৪০মিনিটে থেমেছে।

শুধু 2019 সালে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশান ভারত-চীন সীমান্তে 19 টি এয়ারফিল্ড এবং দুটি খুবই কঠিন টানেলের কাজ সম্পন্ন করেছে যা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করতে চলেছে আগামীকালে ভারত-চীন যুদ্ধের সময়।

এছাড়াও হিমাচল প্রদেশের পৃথিবীর দীর্ঘতম মাউন্টেন টানেল তৈরি করছে ভারতের বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন মোট দৈর্ঘ্য 8.8 কিলোমিটার। এটি তৈরিতে খরচ পরছে 4,000 কোটি টাকা। প্রতিদিন 3000গাড়ি ও 1500 ট্রাক এর মধ্যে দিয়ে 85কিমি প্রতিঘন্টার গতীতে যায়। বছরের অর্ধেকের বেশি সময় লেহ তে বরফ থাকে। তাই উত্তরের এই অঞ্চল গুলির সাথে রোডের সংযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই টানেল ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ বজায় রাখবে। লেহ এর সাথে লাদাখের যুক্ত হওয়া এই টানেল ভারতের সেনাবাহিনীর জন্য এক আশির্বাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.