রাশিয়ান প্রচুর পরিমানে অস্ত্র ভারতীয় অস্ত্রাগারে রয়েছে। জানুন বিস্তারিত
ইউক্রেনে একদিকে যেমন ক্ষমতা দখলের এক নিষ্ঠুর খেলা চলছে, তেমনি, অপরদিকে ভারত তার সীমান্ত অঞ্চলে পরবর্তী চীনা আক্রমণের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।
ক্ষমতা দখলের এক নতুন খেলায় মত্ত হয়ে উঠেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। কিন্তু, ভারতের জন্যেও পরোক্ষভাবে বেশ সঙ্কটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে এর ফলে। চীনের উত্থান ভারত তথা সমগ্র বিশ্ববাসীকেই এক ভয়ঙ্কর অবস্থার সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। অথচ, বর্তমানে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি চীনের উত্থান সহ সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক সমস্যা থেকেই পশ্চিমী দেশগুলির মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলেছে। ইতিমধ্যে, কোয়াডকে ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বাহন হিসাবে ডাকা হচ্ছে! কোয়াডে ভারতের অংশীদাররা নিয়ম-ভিত্তিক আদেশ লঙ্ঘন করা নিয়ে নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী, অভিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনকে সর্বসম্মুখে তিরস্কার করেছে। যুদ্ধ শুরু হতেই রাশিয়ান পণ্যের বিকল্প হিসেবে তারা খতিয়ে দেখতে আরম্ভ করেছে চীনের বাজারকে। এরকম জটিল এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক দিক থেকে ভারতের অবস্থান ঠিক কি হতে পারে তা নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েক দিনের ঘটনাগুলি পশ্চিমী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে পরিষ্কার হয়ে যায় যে সর্বদা দূরবর্তী দেশগুলির অভ্যন্তরীন দ্বন্ধে জড়ানো উচিত নয় তাদের। উল্লেখ্য, ‘প্যাক্স আমেরিকানা’-এর পতন এবং ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট সাধারণ আফগানদের তালিবানের সামনে সম্পূর্ণ অসুরক্ষিত ফেলে কাবুল থেকে আমেরিকানদের দ্রুত পশ্চাদপসরণ ভারতকে বেশ চিন্তায় ফেলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কূটনৈতিক অংশীদার ইংল্যান্ডের কাছে এগুলো নিছক কূটনীতি হলেও ভারতের কাছে এটি এক কঠিন অনুস্মারক। বাস্তব হলো, চীনের সাথে যে কোনো সামরিক সংঘর্ষে সম্পূর্ণ একা লড়তে হবে ভারতকে।
ইউক্রেনে এই গন্ডগোলের আভাস কিন্তু, প্রথম পাওয়া গেছিলো সেই ২০১৪ সালেই। রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিন তখনও ক্ষমতায় আসেননি। বাল্টিক রাষ্ট্রগুলির জন্য ন্যাটো সেই সময় তাদের নতুন করে সদস্যপদ চালু করলে তা উৎসাহিত করে আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি। ইউক্রেন হালে ন্যাটো সদস্যপদ গ্রহণে ইচ্ছুক হয়ে উঠলে, আফগানিস্তানে পরাজয়ের পর রিপাবলিকানদের আক্রমণের মুখে পড়ে কোনঠাসা বাইডেন নভেম্বরের কঠিন সেনেট নির্বাচন পার করার এক সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেছিলো।
প্রথম থেকেই রাশিয়ার স্পষ্ট বক্তব্য ছিলো ইউক্রেন অব্দি যেনো পরিধি বিস্তারের চেষ্টা যেনো না করে ন্যাটো। কিন্তু, বিডেন বারবারই রাশিয়ার প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে এসেছেন। ইউক্রেন ও রাশিয়া সীমান্তে ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রের অস্তিত্ব যে কখনোই মেনে নেবে না রাশিয়া, তা প্রথম থেকেই ছিলো পরিষ্কার। ইউক্রেনের একটা বড়ো অংশ যে দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী ধরে রাশিয়ারই এক অংশ ছিলো তা ইউরোপের ইতিহাস সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা না রাখা,পররাষ্ট্র দফতরের বহু বিশেষজ্ঞই সম্পূর্ণ ভাবে উপেক্ষা করে গিয়েছিলেন। ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার একই ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছে। হাজার হোক,স্লাভ সহকর্মী তারা। তাদের ধর্ম হল অর্থোডক্স। সেই আঠেরো শতক থেকেই রাশিয়ানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রণক্ষেত্রে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তারা। রাশিয়ানদের কাছে ইউক্রেন সর্বদা তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সভ্যতার অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
অপরদিকে, পশ্চিমী দেশগুলির কাছে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি আর কোনো ভাবেই রাশিয়ার সামনে মাথা নত করতে রাজি ছিলেন না। এই কিছুদিন আগেও ‘NATO Enhanced Opportunity Partnership’-এর মাধ্যমে ন্যাটোর সাথে এক অংশীদারিত্বের চুক্তি হওয়ার কথা ছিলো ইউক্রেনের। জেলেনস্কি ভেবেছিলেন রাশিয়া ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ করলে ন্যাটো হয়তো তাকে সামরিক সহায়তা প্রদান করবে। কিন্তু, তার গণনা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি রাশিয়া হুট করে ইউক্রেনের ওপর এভাবে আক্রমণ চালাবে।
ভারত এদিক দিয়েও পড়েছিলো বিপাকে। সম্প্রতি, সাত নম্বর অধ্যায়ের অধীনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়ে একতরফা এক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। ভারতের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিলো নিরাপত্তা পরিষদের এক অস্থায়ী সদস্য হিসেবে এই বিষয়ে নিজস্ব প্রতিক্রিয়া জানানো। এই প্রস্তাবটি মূলত পেশ করা হয়েছিলো চীনের প্রভাব সীমিত রাখা এবং চীন কর্তৃক দ্বিতীয় ভেটো প্রতিরোধ করার জন্য। কিন্তু একের পর এক ভোটের পরেও ভারতকে চীনের ছায়াতেই অস্বস্তিতে দিন কাটাতে হচ্ছিলো। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির বিকল্পগুলি ক্রমশ সীমিত হয়ে আসছিল।
সমগ্র ইউক্রেন জুড়ে বেসমেন্ট বা বাঙ্কারে আটকা পড়ে থাকা ২৪,০০০ জনেরও বেশি ভারতীয় নাগরিকের ভাগ্য নির্ভর করেছে সরকারের ওপর। এদের মধ্যে অধিকাংশ অল্পবয়সী ছাত্র-ছাত্রী হওয়ায় ভারত সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে আরো। যেকোনো প্রকারে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনাই এখন মূল লক্ষ্য সরকারের। অথচ, আকাশপথ বন্ধ থাকায় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এবং রাশিয়ান বাহিনীর সহায়তায় তাদের কোনোভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পরিবহন করে আনাই হলো একমাত্র বিকল্প। শুধু যেখান থেকেই তাদের পুনরায় বিমানে করে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
এই যুদ্ধে ভারতকে প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে বেশ কিছু অপ্রীতিকর বিষয়। রাশিয়ান বাহিনী যে সময় ইউক্রেনে আক্রমণ হানছে, সেই সময় মস্কোতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপস্থিতি এবং রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে বসে সরাসরি তার সাথে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে দেখা ভারতের জন্য ছিলো বেশ অপ্রীতিকর এক ঘটনা। ভারতের নির্ভরযোগ্য এবং পুরোনো বন্ধু রাশিয়া কিভাবে ধীরে ধীরে পশ্চিম তথা এক ভারত বিরোধী অবস্থানের দিকে এগিয়ে চলেছে তা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এই একটি ঘটনাই ছিল যথেষ্ট। আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে পুতিন ক্রমে ভারত থেকে দূরে সরে চিন শিবিরে যোগদান করবে! এটাই হলো বাস্তব।
কিন্তু, এরকম জটিল এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে S-400 নিয়ে ভারতের অবস্থান ঠিক কি হবে? সম্পর্ক নষ্ট হলে, রাশিয়ান অস্ত্রশস্ত্রের যে বিশাল ভান্ডার বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রাগারে রয়েছে, তার খুচরো যন্ত্রাংশ কিভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে সংগ্রহ করবে ভারত? তার ওপর আবার পশ্চিমা ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের ওপর। এতো সমস্যা এড়িয়ে দেশের স্বার্থ সামনে রেখে কিভাবে কাজ করবে ভারত?
এই প্রশ্নগুলো বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবাচ্ছে অনেককেই। তবে, উত্তর লুকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেই। আজ ভারত উভয় পক্ষের সাথেই নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে চলেছে। একদিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপরদিকে, ভারত আবার আমেরিকান, ফরাসি এবং ইইউ নেতৃত্বের সাথেও ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছে। জেলেনস্কির সাথে কথোপকথনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি উভয় পক্ষকেই হিংসা বন্ধ করে পুনরায় কূটনৈতিকতায় ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে ভারতকে পশ্চিমা অবস্থানে যোগ দেওয়ার জন্য কূটনৈতিকভাবে জোর দেওয়া বন্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস, মস্কোর সাথে ভারতের সম্পর্কে নিয়ে উল্লেখ করে বলেছেন- ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার থেকে মস্কোর সাথে ভারতের সম্পর্ক সম্পূর্নভাবে “স্বতন্ত্র”।
ভারতকে এখন তার প্রভাব ব্যবহার করে যে করেই হোক উভয় পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে এক সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজি করতে হবে। যা একদিকে যেমন বিচ্ছিন্ন প্রজাতন্ত্রের বাইরের অঞ্চলগুলিতে ইউক্রেনকে সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি দেবে আবার অপরদিকে রাশিয়াকে ভরসা যোগাবে যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ব্যবহার করে রাশিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টা বন্ধ করবে। একই সঙ্গে উভয় পক্ষের একে অপরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলিও প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
ভারত বন্ধু হিসাবে বিশেষ খ্যাতি না থাকলেও সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে, হেনরি কিসেঞ্জার, পশ্চিমী দেশগুলিকে লক্ষ্য করে কিছু অমূল্য পরামর্শ দিয়েছেন, যা আখেরে ভারতের জন্য হতে পারে বেশ লাভজনক। তিনি বলেছেন, প্রায়শই ইউক্রেনীয় ইস্যুকে এক শো-ডাউন হিসাবে উপস্থাপন করা হয়। ইউক্রেন পূর্বে যোগদান করবে নাকি পশ্চিমে? এই প্রশ্নটিকেই সবসময় বড়ো করে তুলে ধরা হয়। কিন্তু বাস্তব হলো, ইউক্রেনকে যদি টিকে থাকতে হয় এবং একই সাথে দেশের উন্নতিসাধন করতে হয় তবে, পশিমী দেশ বা রাশিয়া, যে কোনো এক পক্ষের আউটপোস্ট হয়ে অবস্থান না করে ইউক্রেনের উচিত নিজের ভূ- রাজনৈতিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে এক সেতু হিসাবে কাজ করা।
একই সাথে কিসেঞ্জার বলেছেন,” ইউক্রেন মাত্র ২৩ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই, নব্য গঠিত এই দেশের নেতারা এখনো আপস করতে শেখেননি। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ককে এখনো মাপতে জানেন না তারা। ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ এবং তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কো… ইউক্রেনের দুটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নিতে ইচ্ছুক নন তারা। আমাদের সমঝোতা করে নেওয়া উচিত। কোনো এক উপদলের আধিপত্য চাওয়া কখনোই কাম্য নয়। পশ্চিমাদের জন্য, ভ্লাদিমির পুতিনের দানবীয়করণ কোনো নীতি নয় বরং নীতিহীনতারই এক প্রমাণস্বরূপ।”
ভারতের উচিত এখনই জোরপূর্বক নিজের কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে বন্ধুত্বকে কাজে লাগিয়ে যাবতীয় সংঘাতের অবসান ঘটানো এবং ইউক্রেনে পুনরায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। ভারত এতো বড় এক কাজে সফল হবে কি হবে না সেটা পরের প্রশ্ন। তবে, চেষ্টা ছাড়া উপায় নেই। ইউক্রেনে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটলে ভারত যে অতিরিক্ত সুবিধা পাবে তা হলো- ভারতের কোয়াড পার্টনার সহ অন্যান্য কৌশলগত অংশীদারদের যাবতীয় ফোকাস পুনরায় চিন এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের দিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারত বেশ চাপে পড়েছে ঠিকই তবে, এই যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টির ফলেই আমরা আরো ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছি যে ভবিষ্যতে চীনের সাথে কোনরকম গোলযোগ সৃষ্টি হলে সেই অবস্থা সামাল দিয়ে চীনকে পরাজিত করার দায়িত্ব হবে শুধুমাত্র ভারতেরই। পাশে থাকবে না কেউ। পশ্চিমা জোটের দুর্বলতা চীনকে ক্রমশ উৎসাহিত করেছে। গান্ধী বলেছিলেন: “চিরন্তন সতর্কতা হলো স্বাধীনতার মূল্য।”
বর্তমানে যাবতীয় ভয় দূরে ঠেলে মাথা সোজা রেখে ভারত অপেক্ষারত সীমান্তে পরবর্তী চিনা অগ্রশনের জন্য। প্রস্তুত রয়েছে ভারত। জেলেনস্কি নই আমরা! আমরা জানি আমরা একা। শুধু এখন নয়, বরাবরই একাই ছিলাম আমরা। কোনো দেশের কোনরকম সমর্থনের প্রয়োজন নেই আমাদের। দরকার পড়লে একা লড়বে ভারত।