পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সার্ভিসে থাকতেও কেন চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সার্ভিসে নিয়ে আসছে আমেরিকা?
নিউজ ডেস্কঃ F 16। এমনই এক যুদ্ধবিমান যার ভয়ে ত্রস্ত সারা বিশ্ব। আমেরিকা ছাড়াও সারা পৃথিবীর প্রায় ২৬ টি দেশ ব্যবহার করেছে। সবরকম আবহাওয়ায় চলতে সক্ষম যুদ্ধবিমানটি ১৯৭৮ সালের অগাস্ট মাসে সার্ভিসে আসে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৬০০ এই যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয়েছে।
যুদ্ধবিমান টি বিশেষ যেসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে
লম্বা- ৪৯ ফুট
উচ্চতা- ১৬ ফুট
খালি অবস্থায় ওজন ৮,৫০০ কেজি। আর ভর্তি অবস্থায় ওজন ১৯১৮৭ কেজি। অর্থাৎ ১০,০০০ কেজি পর্যন্ত অস্ত্র নিয়ে ৫০,০০০ ফুট পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এই যুদ্ধবিমানটি। ৩২০০ কেজি পর্যন্ত জ্বালানি নিয়ে উড়তে পারে।
সি লেভেলে অর্থাৎ নীচ থেকে ১৪০০ কিমি/ঘণ্টা স্পিডে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হলেও সর্বচ্চ ২২০০কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে উড়তে পারে। ইতি আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভুমিতে এবং আকাশ থেকে জাহাজে হামলা চালাতে সক্ষম। আমেরিকা ছাড়াও বেলজিয়াম,পাকিস্তান, গ্রিস, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া এবং ইসরায়েলের মতো সেনাবাহিনীতে রয়েছে এই যুদ্ধবিমানটি। ইসরায়েলের হাতে থাকা যুদ্ধবিমানটি সবচেয়ে বিধ্বংসী বলে থাকেন বিশেষজ্ঞেরা।
সম্প্রতি লকহিড-মার্টিন ২০২৬ এর মধ্যে ৯০ টি অ্যাডভান্স F-16 Block 70/72 দুটি দেশকে সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে।
তাইওয়ান = ৬৬ টি F-16 Block 70/72
মরক্কো = ২৪ টি F-16 Block 70/72
এই অ্যাডভান্স F-16 গুলির বিরাট ভাবে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। পঞ্চম প্রজন্মের AESA রাডার, ফুল গ্লাস ককপিট, IRTS সিস্টেমের মতো মডিফিকেশন সহ এটি একটি মারাত্মক হুমকি হিসাবে দেখা দিতে পারে শত্রুর কাছে। লকহিড মার্টিনের মতে,এখনো সারা বিশ্বে ৪০০ নতুন F-16 এর বাজার রয়েছে। এই যুদ্ধবিমান ১০০ র উপর ইতিমধ্যে অর্ডার করেছে আমেরিকার বায়ুসেনা।
এখনও পর্যন্ত ৪৬০০ F-16 যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয়েছে।