শত্রুর ঘাঁটিতে হটাৎ আক্রমণ করার জন্য ভারতবর্ষের বিশেষ বাহিনী তৈরি
নিজস্ব সংবদদাতা: রাফায়েল থেকে শুরু করে মূল্য বৃদ্ধি, কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা সব কিছু নিয়েই বর্তমানে তীব্র সমালোচনায় মুখে বিজেপি। সমস্ত কিছুকে হাতিয়ার করে জোর তরজা চলছে শাসকদল এবং বিরোধীদলের মধ্যে। এবার সেই লিস্টে যোগ হয়েছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো গুরুগম্ভীর বিষয়ও৷ দেশে তীব্র সমালোচনা ও বাইরে আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মাঝে এবার মান রক্ষা করতে মোদী সরকার সার্জিকাল স্ট্রাইককেই বানাতে চাইছে হাতিয়ার। আগের বার ভারত পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে বিপুল সাফল্য পেয়েছিলো। জানা যাচ্ছে, মোদী সরকার এবার সেই সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়েই কিছু নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের ভারতের এক প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, তিন সামরিক বিভাগ থেকে বাছাই করা সর্বসেরা সৈন্যদের নিয়েই গঠন করা হবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের এই নতুন ইউনিট। যে ইউনিট মুহূর্তের আদেশে নিমেষে শত্রুর ঘাঁটির ঢুকে অতর্কিত আক্রমণ চালাতে থাকবে সদা প্রস্তুত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারী আধিকারিকের কাছ থেকে জানা গেছে আরো কিছু অজানা তথ্য। খবর অনুযায়ী গরুঢ়, মার্কোস, পারস, এই তিন বিভাগের স্পেশাল ফোর্স নিয়ে তৈরি হবে নতুন ইউনিট। অর্থাৎ নয়া কম্যান্ডো গ্রুপে থাকবে বিশেষ দক্ষ কয়েকজন সাধারণ সেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনাও। শোনা যাচ্ছে গোটা কাজটি সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্ল্যানিং এবং অ্যাসল্ট এর আলাদা আলাদা দুটি গ্রুপ বানানো হবে৷ ইতিমধ্যেই সরকার প্ল্যানিং গ্রুপের জন্য ৯৬ জন এবং অ্যাসল্ট গ্রুপের জন্য ১২৪ জন সৈন্যকে বেছে নিয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। এই গ্রুপও আবার বিভক্ত দুটি সাব-ইউনিটে। ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথা অনুযায়ী, সার্জিকাল স্ট্রাইকের জন্য নতুন ইউনিট তৈরির এই পরিকল্পনা স্বয়ং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মস্তিষ্ক প্রসূত৷