পৃথিবী

মানুষিক রোগীদেরকে কেন কাজে লাগাতে চাইছে ইংল্যান্ডের গুপ্তচররা?

নিউজ ডেস্কঃ “তারে জামিন পার” ছবিটা কমবেশি অনেকেরই দেখা। ছবিটা অনেকরই ভালো এবং প্রিয় ছবির মধ্যে পরে। তবে ছবিতে এক বিরাট রোগের কথা বোঝাতে চাওয়া হয়েছিল তা কমবেশি অনেকরই নজরে পরেনি। তাহল ডিস্লেক্সিয়া, অর্থাৎ ঠিকমতো ভাবে শব্দ চিনতে না পারা বা বলতে না পারা, আবার অনেকসময় শব্দ উলটো করে বা ভুল ভাবে লেখা। এদের এই রোগ বাকি রোগের থেকে আলাদা হলেও এই রোগীদের বিশেষ কিছু ক্ষমতা থাকে।

এই ডিস্লেক্সিক রোগীদের এবার বিশেষ কাজে ব্যবহার করার কথা ভাবছে ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা। এদের বিশেষ কিছু গুন থাকার কারনে। গুপ্তচর সংস্থা গুলির মধ্যে এতদিন নিজেরা স্বতন্ত্রভাবে নিয়োগ করা হত। যেমন এর মধ্যে বিশেষভাবে ছিল আমেরিকার এজেন্সি C.I.A।

এবার ঠিক সেই ভাবে নিয়োগ করতে চাইছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা GCHQ (Government Communications Headquarters)। সম্প্রতি তারা এক অভূতপূর্ব তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে ‘dyslexia’ রোগীদের গুপ্তচর বৃত্তির কাজে নিয়োগ করবেন। আর সেই কারনে তারা সাম্প্রতিক কালে তারা প্রায় ১২০ জন ডিস্লেক্সিক রোগীদের কে এই কাজে নিয়োগও করেছেন। প্রধানত কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সির কাজে।

তাদের মতে এই ধরনের রোগে, কিছু কিছু স্কিল সাধারণ মানুষের চেয়ে দূর্বল থাকলেও ‘pattern recognition’ জাতীয় কাজে এরা সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছেন। বিশেষ করে বিদেশী ভাষায় লেখা কোডের মধ্যে সাধারন প্যাটার্ন খুঁজতে এরা সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি পারদর্শী, এর প্রধান কারন হল এনারা শব্দ ব্যবহারের চেয়ে কোন শব্দ কে ছবির মাধ্যমে বোঝাতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। আর তাই ভাষা কে এঁরা মূলত ছবির আকারে দেখেন পাশাপাশি ঠিক এর মধ্যে প্যাটার্ন গুলিকে। অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১৪ বছর আগে বলিউডে রিলিজ হওয়া ছবি তারে জামিন পারের সাথে অনেকটা মিলে যাচ্ছে। অর্থাৎ ব্রিটিশ সংস্থা যে বাকি দেশের থেকে একদম অন্যভাবে চলছে তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.