ওয়াইফাই-এর জন্ম কোন দেশে কিভাবে হয়েছিল?
নেট পরিষেবা বেশি পেতে চায় নৈকট্য ব্যবহারকারীরা। কারণ যে অর্থ খরচের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি সিমীত নেট পরিষেবা পায়, তবে বর্তমানে দৈনন্দিন যে হারে মানুষ নেট ব্যবহার করে তাতে পর্যাপ্ত কথার কোন ব্যবহার থাকে না। অর্থাৎ অল্প খরচে সীমাহীন নেট পরিষেবা পেতে চায় মানুষ। আর এই পরিষেবা দিয়ে থাকে একমাত্র ওয়াই-ফাই। এখন ঘরে ঘরে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের মতোই ওয়াইফাই বসানোও একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। কি সকলের কাছে ওয়াইফাই সুবিধা থাকলেও এখনও পর্যন্ত অনেকেই অবগত নয় তার জন্ম ইতিহাস থেকে। কি ভাবে! কোথায়! এবং কার মাধ্যমে এই ওয়াইফাই আবিষ্কার হয়েছে সেই বিষয়ে অনেকেরই ধোয়াশা রয়েছে। তাহলে একটু দেখে নেওয়া যাক ওয়াইফাই-এর জন্ম ইতিহাস।১৯৮৫ সালে প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল ওয়াইফাই। যদিও তখন এই ওয়ারলেস নেট পরিষেবার নাম ওয়াইফাই ছিল না। ঊনিশ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এফসিসি ঘোষণা করেছিল যে কেউ লাইসেন্স ছাড়াই ওয়্যারলেস ফ্রিকোয়েন্সি 900MHZ, 2.4 Ghz এবং 5.8 Ghz ব্যবহার করতে পারবে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল ওয়াইফাইের ইতিহাস।
এই ব্যান্ডগুলি প্রথম অবস্থায় মাইক্রোওয়েভের মতো গৃহস্থালীতে ব্যবহার করা হত। এই কারণে মনে করা হতো এগুলোর কোনো লাভ নেই। বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তেমন কোন কাজে আসবে না। তাই এই ব্যান্ডটিকে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য, এফসিসি-র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। আর এটিকে স্পার্ড স্পেকট্রাম টেকনোলজি নাম দেওয়া হয়েছিল ।
পর্বরতীতে ১৯৪১ সালে স্প্রেড স্পেকট্রাম প্রযুক্তির লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল । এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একাধিক ফ্রিকোয়েন্সি সহ সংকেত পাঠানো হত। এর ফলে সেই যুগে এই প্রযুক্তির কারনে ওয়্যারলেস সিগন্যালে অনেক উন্নতি হয়েছিল। সেই সময়ে আরও একটি প্রযুক্তির উদ্ভব হয়েছিল যার নাম দেয়া হয়েছিল WLAN (ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক)। তবে এটির অনেক প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। যেমন WLAN এর জন্য কোন স্ট্যান্ডার্ড ছিল না। যার ফলে বিভিন্ন কোম্পানির ডিভাইস সংযোগ করতে অনেক ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এনসিআর কর্পোরেশনের একটি ওয়্যারলেস ক্যাশ রেজিস্টারের প্রয়োজন হয়ে পরে। সেই কারণেই তিনি ভিক্টর হেইস এবং ব্রুস টুচের সহায়তা নিয়ে ইন্সটিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE) কে একটি মানদণ্ডে পরিণত করার চেষ্টা করেছিলেন। তখন সময় ছিল ১৯৮৮ সাল। তবে স্ট্যান্ডার্ডটি ১৯৯৭ সালে প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং তার নাম দেওয়া হয়েছিল “802.11”। এই স্ট্যান্ডার্ডটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৭ সাল। সেই সময়ে 802.11 স্ট্যান্ডার্ডে ডেটা ট্রান্সফারের গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২ মেগাবিট । 802.11a ১৯৯৯ সালে আবার প্রকাশিত হয়েছিল। যার ডেটা আদান প্রদানের গতি ছিল প্রায় ৫৪ মেগাবিট পার সেকেন্ডে। এটি অনেক ব্যয়বহুল ছিল, তাই এর পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল 802.11b , এটি থেকেই ওয়াইফাই প্রযুক্তির শুরু হয়েছিল, এই সংস্করণটি সস্তা ছিল এবং এই নেটওয়ার্কের পরিসরও ছিল অনেক বেশি।
802.11b এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল । খুব দ্রুত এটি হার্ডওয়্যার বাজারে তার একটি ভাল অবস্থান তৈরি করেছে। পরিসীমা এবং সামঞ্জস্যের কারণে, এটি বেশ অনেকটা ব্যয়বহুল ছিল।এই কারণে, ৬টি কোম্পানি একত্রিত হয়ে একটি ওয়্যারলেস ইথারনেট জোট বা WECA গঠন করেছিল। দীর্ঘদিন এই পরিষেবা ব্যবহারের পর যুগের উন্নতির সাথে এর নামেরও উন্নতি ঘটেছে। ডিজিটের পরিবর্তে ২০০২ সালে ওই যন্ত্রটিকে নাম দেওয়া হয়েছিল ওয়াই-ফাই। এই ওয়াই-ফাই কথাটি মূলত হাইফাই থেকে উদ্ভূব হওয়া একটি শব্দ। কয়েক বছর পর ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে এটির নামের বহিঃ প্রকাশ ঘটে এবং মানুষের মুখে চর্চিত হতে শুরু করে।
নেট পরিষেবা বেশি পেতে চায় নৈকট্য ব্যবহারকারীরা। কারণ যে অর্থ খরচের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি সিমীত নেট পরিষেবা পায়, তবে বর্তমানে দৈনন্দিন যে হারে মানুষ নেট ব্যবহার করে তাতে পর্যাপ্ত কথার কোন ব্যবহার থাকে না। অর্থাৎ অল্প খরচে সীমাহীন নেট পরিষেবা পেতে চায় মানুষ। আর এই পরিষেবা দিয়ে থাকে একমাত্র ওয়াই-ফাই। এখন ঘরে ঘরে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের মতোই ওয়াইফাই বসানোও একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। কি সকলের কাছে ওয়াইফাই সুবিধা থাকলেও এখনও পর্যন্ত অনেকেই অবগত নয় তার জন্ম ইতিহাস থেকে। কি ভাবে! কোথায়! এবং কার মাধ্যমে এই ওয়াইফাই আবিষ্কার হয়েছে সেই বিষয়ে অনেকেরই ধোয়াশা রয়েছে। তাহলে একটু দেখে নেওয়া যাক ওয়াইফাই-এর জন্ম ইতিহাস।১৯৮৫ সালে প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল ওয়াইফাই। যদিও তখন এই ওয়ারলেস নেট পরিষেবার নাম ওয়াইফাই ছিল না। ঊনিশ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এফসিসি ঘোষণা করেছিল যে কেউ লাইসেন্স ছাড়াই ওয়্যারলেস ফ্রিকোয়েন্সি 900MHZ, 2.4 Ghz এবং 5.8 Ghz ব্যবহার করতে পারবে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল ওয়াইফাইের ইতিহাস।
এই ব্যান্ডগুলি প্রথম অবস্থায় মাইক্রোওয়েভের মতো গৃহস্থালীতে ব্যবহার করা হত। এই কারণে মনে করা হতো এগুলোর কোনো লাভ নেই। বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তেমন কোন কাজে আসবে না। তাই এই ব্যান্ডটিকে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য, এফসিসি-র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। আর এটিকে স্পার্ড স্পেকট্রাম টেকনোলজি নাম দেওয়া হয়েছিল ।
পর্বরতীতে ১৯৪১ সালে স্প্রেড স্পেকট্রাম প্রযুক্তির লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল । এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একাধিক ফ্রিকোয়েন্সি সহ সংকেত পাঠানো হত। এর ফলে সেই যুগে এই প্রযুক্তির কারনে ওয়্যারলেস সিগন্যালে অনেক উন্নতি হয়েছিল। সেই সময়ে আরও একটি প্রযুক্তির উদ্ভব হয়েছিল যার নাম দেয়া হয়েছিল WLAN (ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক)। তবে এটির অনেক প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। যেমন WLAN এর জন্য কোন স্ট্যান্ডার্ড ছিল না। যার ফলে বিভিন্ন কোম্পানির ডিভাইস সংযোগ করতে অনেক ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এনসিআর কর্পোরেশনের একটি ওয়্যারলেস ক্যাশ রেজিস্টারের প্রয়োজন হয়ে পরে। সেই কারণেই তিনি ভিক্টর হেইস এবং ব্রুস টুচের সহায়তা নিয়ে ইন্সটিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE) কে একটি মানদণ্ডে পরিণত করার চেষ্টা করেছিলেন। তখন সময় ছিল ১৯৮৮ সাল। তবে স্ট্যান্ডার্ডটি ১৯৯৭ সালে প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং তার নাম দেওয়া হয়েছিল “802.11”। এই স্ট্যান্ডার্ডটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৭ সাল। সেই সময়ে 802.11 স্ট্যান্ডার্ডে ডেটা ট্রান্সফারের গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২ মেগাবিট । 802.11a ১৯৯৯ সালে আবার প্রকাশিত হয়েছিল। যার ডেটা আদান প্রদানের গতি ছিল প্রায় ৫৪ মেগাবিট পার সেকেন্ডে। এটি অনেক ব্যয়বহুল ছিল, তাই এর পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল 802.11b , এটি থেকেই ওয়াইফাই প্রযুক্তির শুরু হয়েছিল, এই সংস্করণটি সস্তা ছিল এবং এই নেটওয়ার্কের পরিসরও ছিল অনেক বেশি।
802.11b এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল । খুব দ্রুত এটি হার্ডওয়্যার বাজারে তার একটি ভাল অবস্থান তৈরি করেছে। পরিসীমা এবং সামঞ্জস্যের কারণে, এটি বেশ অনেকটা ব্যয়বহুল ছিল।এই কারণে, ৬টি কোম্পানি একত্রিত হয়ে একটি ওয়্যারলেস ইথারনেট জোট বা WECA গঠন করেছিল। দীর্ঘদিন এই পরিষেবা ব্যবহারের পর যুগের উন্নতির সাথে এর নামেরও উন্নতি ঘটেছে। ডিজিটের পরিবর্তে ২০০২ সালে ওই যন্ত্রটিকে নাম দেওয়া হয়েছিল ওয়াই-ফাই। এই ওয়াই-ফাই কথাটি মূলত হাইফাই থেকে উদ্ভূব হওয়া একটি শব্দ। কয়েক বছর পর ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে এটির নামের বহিঃ প্রকাশ ঘটে এবং মানুষের মুখে চর্চিত হতে শুরু করে।