ভারত

চীনের মিসাইল মাঝ আকাশে প্রতিরোধ করতে কতোটা পারদর্শী ভারতবর্ষের এস ৪০০?

এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ। সারা পৃথিবীর এখন মাথা ব্যথার কারন। পৃথিবীর বহু দেশের হাতে ইতিমধ্যে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আছে এবং বহু দেশ এই সিস্টেম ক্রয় করতে চাইছে। বেশ কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর বহু দেশের হাতে এই যুদ্ধাস্ত্র থাকবে বলে আসা করছে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

১৯৮০ র দশকে এই এস ৪০০ সিস্টেমের ডেভেলপমেন্ট শুরু হয়। ১৯৯৩ সালে রাশিয়া তাদের এই সিস্টেমের কথা ঘোষণা করে এবং ১৯৯৯ সাকে এটি সফলভাবে পরিক্ষা করা হয়। ২০০১ সালের দিকে রাশিয়ার আর্মিতে এটি মোতায়েন করার কথা ছিল। কিন্তু এটি সার্ভিসে আসে ২০০৭ সালে। এটির প্রতি ইউনিটের খরচ ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ৯ টি লঞ্চার এবং ১২০ টি মিসাইল থাকে। একাধিক বিশেষজ্ঞদের মতে পৃথিবীতে থাকা এখনও পর্যন্ত সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।চীন এই ডিফেন্স সিস্টেম সবার আগে ক্রয় করে রাশিয়ার থেকে, এরপর সৌদি আরব, তুরস্ক এবং বেলারসের কাছে রয়েছে।দক্ষিন, কোরিয়া, ইজিপ্ট, কাতার, আলজেরিয়া এমনকি আমেরিকা পর্যন্ত ক্রয় করতে ইচ্ছুক(তাদের তৈরি করা আইনের জন্য তারা এই মিসাইল ক্রয় করতে পারবে না যদিও) এই ডিফেন্স সিস্টেম। কিছুদিনের মধ্যেই ভারত এবং সৌদি আরবের হাতে চলে আসবে এই বিধ্বংসী মিসাইল সিস্টেম।

এই মিসাইল সিস্টেমটি ৪০ থেকে শুরু করে ৪০০ কিমি পর্যন্ত যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে ম্যাক ১৪ অর্থাৎ প্রায় ১৭০০০ কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে হামলা চালাতে সক্ষম।এই মিসাইল সিস্টেমের সাথে রাশিয়ার প্যান্ট সায়ার সিস্টেম দ্বিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের কাজ করে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। এর একটি মিসাইলের ওজন ৩০০ কেজি থেকে শুরু করে থেকে শুরু করে ১৯০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এবং ওয়ারহেড থাকে ২৪ কেজি থেকে শুরু করে ১৮০ কেজি পর্যন্ত। সিস্টেমটি আকাশ পথে যেকোনো হামলা চট করে রুখে দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর বিধ্বংসী গতির জন্য শত্রুপক্ষের কোনও বিমান থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার সুরক্ষিত থাকবেনা। এই সিস্টেম ভারতের হাতে আসলে যে ভারতের আকাশ শত্রুপক্ষের হামলা থেকে অপারেজেয় হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.