নৌবাহিনীর কাছেই রয়েছে রাশিয়ান সাবমেরিন! কতোটা ভয়ঙ্কর?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় সেনাবাহিনীর এখনও প্রচুর অস্ত্র রাশিয়ার থেকে ক্রয় করে থাকে। তবে একটা সময় ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্তত ৯০ শতাংশ অস্ত্র আসত রাশিয়ার থেকে। আর রাশিয়ার সেই সকল জিনিস এখনও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভারতের হাতে। বিশেষ করে যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে সাবমেরিন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এখনও প্রচুর পরিমাণে সেইসকল যুদ্ধাস্ত্র গুলি রয়েছে। আর সেই গুলিকে এখন আপডেট করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতের হাতে বেশ কিছু রাশিয়ান সাবমেরিন রয়েছে যেগুলি পৃথিবীর অন্যতম সেরা সাবমেরিনের মধ্যে বিচার করা হত।
সিন্ধুঘশ ক্লাস সাবমেরিন। ১৯৮৬ সালে সার্ভিসে আনে সোভিয়েত ইউনিয়ন। বর্তমানে ভারতের হাতেই একমাত্র রয়েছে। ১০ টি সাবমেরিন তৈরি করা হলেও বর্তমানে ভারতের হাতে এলেও এখন ৮ রয়েছে।
এগুলি টাইপ ৮৭৭ইকেএম শ্রেনীর সাবমেরিন বলা হয়ে থাকে। যা পুরাতন টাইপ ৮৭৭ এর আপগ্রেডেড স্টেল্থ ভার্সান। সম্প্রতি এই গুলিকে আপগ্রেড করা হয়েছে। ৮৭৭ এর তুলনায় এর সিগনেচার হ্রাস করতে এর ফ্লুডিং পোর্টসকে সড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া gas-freeing system এর সাথে এর হালকে রবার দিয়ে কভার করা আছে। তাই এটি অত্যন্ত কম শব্দ উৎপন্ন করে।
এইরকম ৮টি সাবমেরিন আছে। যেগুলি আপগ্রেড প্রসেসের শেষ করেছে। এই সাবমেরিন গুলিতে BEL এর তৈরি সোনার, কম্ব্যট ম্যনেজমেন্ট সিস্টেম, ক্লুব ক্রুজ মিসাইল লঞ্চ ক্ষমতা সহ নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির সংযোগ করা হয়েছে।
এই সাবমেরিন এতটা কম শব্দ উৎপন্ন করে যে একে শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। তাই একে পশ্চিমীরা “ব্ল্যকহোল” নামে ডাকে। এগুলি ৩০০০ টন নিয়ে প্রায় ৩০০ মিটার গভীরে যেতে সক্ষম। ৫৩ জন ক্রু মেম্বার নিয়ে ১৮ নট স্পিডে এক টানা প্রায় ৪৫ দিন জলের নীচে থাকতে পারে। সাবমেরিন গুলিকে আট্যাকিং সাবমেরিন বলা হয়ে থাকে। এই সাবমেরিনের ক্রুজ মিসাইলের রেঞ্জ প্রায় ২০০ কিমি।