ভারত

ভারতবর্ষের মাটিতে কোন গোত্রের ভয়ঙ্কর ড্রোন রয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ ভবিষ্যতের যুদ্ধে যে ড্রোন এক বিরাট বড় ভূমিকা নিতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। আর সেই কারনে পৃথিবীর বহু দেশ বিধ্বংসী এবং পরবর্তী প্রজন্মের ড্রোন নির্মাণের উপর নজর দিয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, তুরস্ক এবং চীনের পাশাপাশি এবার ভারতবর্ষ ও প্রচুর পরিমাণে বিধ্বংসী ড্রোন নির্মাণের উপর বিনিয়োগ করা শুরু করেছে। তবে বলা বাহুল্য যে ভারতবর্ষের পার্শ্ববর্তী দেশ বা শত্রুদেশের থেকে ড্রোন নির্মাণে কয়েককদম এগিয়ে যাবে।

গত কয়েকমাসে এবং আগামী দিনে এমন কিছু ড্রোন প্রজেক্ট আসতে চলেছে যা অবাক করার মতো। 

জানুয়ারী মাসে সেনাবাহিনী দেশীয় কোম্পানি আইডিয়া ফোর্জের সাথে ১৩০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে। যার মাধ্যমে অজানা সংখ্যক সারভিলেন্স ড্রোনের চুক্তি হয়েছে।

কিছু সপ্তাহ আগেই ভারতীয় কোম্পানি আলফা ডিফেন্সের সাথে স্কাই স্ট্রাইকার লয়টারিং ড্রোনের চুক্তি হয়। এই স্কাইস্ট্রাইকার ইসরায়েলের বিখ্যাত কোম্পানি এলবিট সিস্টেমের জিনিস যা ভারতবর্ষের মাটিতে তৈরি হচ্ছে।

নিউস্পেশ এজেন্সির সাথে ১৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে যার মাধ্যমে ১০০ টি সোয়ার্ম ড্রোন ক্রয় করা হতে পারে। 

প্রজেক্ট চিতার মাধ্যমে ভারতবর্ষ ইসরায়েলের হেরন ড্রোন গুলোকে আপগ্রেড করছে। বিশেষ করে এই ড্রোন গুলিতে বিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে। মোট খরচ ৫০০০ কোটি টাকা।

আমেরিকার সাথে ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে চলেছে। যুদ্ধাস্ত্র সমেত ৩০ টি প্রিডেটর ড্রোনের চুক্তি হতে চলেছে।

নিউস্পেশ এজেন্সি এবং হ্যাল যৌথভাবে এয়ারলন্চড অর্থাৎ আকাশ থেকে লঞ্চ করানয় হবে এমন CATS সোয়ার্ম ড্রোন প্রজেক্টে কাজ করছে। যা তেজস এবং রাফালের মতো যুদ্ধবিমান থেকে লঞ্চ করা হতে চলেছে।

ভারত এবং আমেরিকা যৌথভাবে ড্রোন তৈরির চুক্তি হয়েছে ইতিমধ্যে।

DRDO এবং ADE একটি নতুন প্রজন্মের ড্রোন তৈরির প্রজেক্ট শুরু করেছে যা আগামী ৭ বছরের মধ্যে সার্ভিসে আসতে চলেছে। 

ইতিমধ্যে পরবর্তী প্রজন্মের ঘাতক ড্রোন প্রজেক্ট চলছে।

DRDO এবং রুস্তম-২ ও হ্যালের নিজস্ব লয়াল উইংম্যান প্রজেক্ট চলছে।

শুধু যে ড্রোন তৈরির উপর বিশেষভাবে নজর দিয়েছে ভারতবর্ষ তা কিন্তু নয় পাশাপাশি কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমের উপরেও কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইসরায়েলের রাফায়েল ডিফেন্স সিস্টেম, DRDO ও জেন টেকনোলজির সাথে চুক্তি হয়েছে কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমের ব্যাপারে।

এই মহূর্তে ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তরে এয়ারডিফেন্স, মিসাইল এবং ড্রোন, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম এবং সাইবার ওয়ার ফেয়ারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে, সাথে সাথে AI সেক্টরেও রিসার্চের জন্য সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা গুলির উপর বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.