রাশিয়া

রাশিয়ার কাছ থেকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নেওয়ার পর বিশ্বাসঘাতকতা তুরক্সের

নিউজ ডেস্কঃ বিশ্ব রাজনীতিতে কি হবে। আর কখন পরিবর্তন হবে তা বলা বেশ মুশকিল। কারন কখন কি কোন দিকে ঝুঁকবে বলা খুব মুশকিল। খুব সোজা কথা বলতে গেলে সমীকরণ গুলি খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হতে থাকে। সব থেকে বড় ব্যপার হল এই যে এর ফলে সামরিক খেত্রের অনেক উন্নতি এবং অবনতি, পাশাপাশি সিক্রেট ফাঁস হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার থাকে। আর সেই কারনে প্রতিতা পদক্ষেপ খুব বুঝে ফেলতে হয়। ঠিক সেইরকম সমীকরণ এবার দেখা গেল রাশিয়া, তুরস্ক এবং আমেরিকার মধ্যে। 

তুরস্ক রাশিয়া থেকে এস ৪০০ ক্রয় করার জন্য তাদের উপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা চাপায় আমেরিকা, আর সেই কারনে আমেরিকা তাদের এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি শেষ মুহূর্তে আর তুরস্কে বিক্রি করেনি। তবে এবার কিছুটা পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তুরস্ক আমেরিকাকে এক অভিনব প্রস্তাব দিয়েছে, তুরস্কের কাছে থাকা এস ৪০০ সিস্টেমকে তুরস্ক ও আমেরিকার যৌথ কাস্টাডিতে রাখার আবেদন করেছে।

হটাৎ এরকম করার কারন কি? 

কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঘটনার দুটি ব্যাখা হতে পারে। 

প্রথমত আমেরিকার ক্রমাগত চাপের কাছে মাথা নত করতে হল তুরস্কে। কারন তুরস্কের অর্থনীতির বিরাট একটা অংশ নির্ভর করে আমেরিকা এবং ন্যাটো দেশ গুলির উপর। পাশাপাশি তাদের সামরিক ক্ষেত্রের বেশিরভাগ টেকনোলোজি আমেরিকার থেকে ক্রয় করা ফলে তাদের এই বিশেষ অস্ত্র গুলিকে আর আপগ্রেড বা মেরামত কিছুই করতে পারছে না। ফলে বিরাটভাবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা।

দ্বিতীয়ত পুরো ঘটনাটাই আমেরিকার সাজানো। কারন রাশিয়ার এস ৪০০ ভীষণ অত্যাধুনিক, সেই কারনে ন্যাটো দেশ গুলির কাছে এক হুমকির বিষয়। সেই কারনে রাশিয়ার এস ৪০০ রাশিয়ার থেকে নিয়ে আসার জন্য আমেরিকার কাছে পাঠানো হয়েছিল। এমনও সম্ভব হতে পারে যে ভবিষ্যতে আমেরিকার থেকে এফ ৩৫ পেয়ে গেল তুরস্ক।

হতে পারে এই পুরো ঘটনাটাই আমেরিকার পরিকল্পনা। S-400 যথেষ্ট অ্যাডভান্সড এয়ারডিফেন্স যা ন্যাটোর চিন্তার কারন। তাই হতে পারে পরিকল্পনা মাফিক তুরস্ক কে রাশিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছিল S-400 নিয়ে আসার জন্য। হয়ত দেখা যাবে ভবিষ্যতে তুরস্ক F-35 ও পেল।

তবে একটা কথা না বললেই নয় যে এর ফলে আমেরিকা এবং তুরস্ক দুই দেশেরি লাভ হল। অন্যদিকে রাশিয়ার একটি যুদ্ধাস্ত্রের সিক্রেট লিক হয়ে গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.